AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tamarind: রোজ তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক! জানতেন?

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে ডায়াবিটিস সবেতেই খুব ভাল কাজ করে তেঁতুল। আর তাই রোজ খাওয়ার ডেষ্টা করুন

Tamarind: রোজ তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক! জানতেন?
যে কারণে রোজ তেঁতুল খাবেন
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 11:17 PM
Share

তেঁতুল ( Tamarind) বললেই প্রথম মনে যা আসে তা হল ফুচকা। ফুচকার তেঁতুল জলই কিন্তু সবচেয়ে মহার্ঘ্য উপাদান। শেষ ফুচকা খেতে পাতা ফেলার আগে একটু তেঁতুল জল চেখে দেখেন না এমন মানুষের সংখ্যা দলে ভারী। এছাড়াও তেঁতুল দিয়ে মাছের টক, আচার খেতে কার না ভাল লাগে! তেঁতুলের কিন্তু অনেক গুণ। কিন্তু হাতের সামনে পাওয়া সহজলভ্য এই ফলকে অনেকেই হেলাফেলা করেন। যে কোনও বিদেশী ফলের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টি রয়েছে তেঁতুলের মধ্যে। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা পকেট খসিয়ে অনেক রকম বাহারি খাবার কিনি। জটিল তাদের নামের বহর। কিন্তু সেই তালিকায় ব্রাত্য তেঁতুল। আর তাই রোজ একটু করে পাতে তেঁতুল রাখলে অনেক রকম উপকার পাবেন। অগ্ন্যাশয়ে টিউমারের সমস্যা থেকে হার্টের রোগ এমনকী ওজন কমাতেও ভীষণ রকম কার্যকরী তেঁতুল।

হার্ট ভাল রাখে: তেঁতুল হার্টের জন্য দারুণ  উপকারী। কারণ এটি  কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন সি। যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালকে শোষণ করে। যে কারণে কোনও অ্যালার্জির সমস্যায় তেঁতুল খাওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়াও থাকে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হজমের সমস্যায়:  সেই  প্প্র্রাচীন কাল থেকেই হজমের ওষুধ তৈরি করতে আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে তেঁতুল ব্যবহার করার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। তেঁতুল আমাদের পিত্তথলি থেকে এক রকম উৎসেচক নির্গত হতে সাহায্য করে। যে কারণে হজমের সমস্যা দূর হয়। হজম তাড়াতাড়ি হয়। এছাড়াও তেঁতুলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের রেচনে সাহায্য করে।  যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও কিন্তু খেতে পারেন তেঁতুল।

পুষ্টিগুণে ভরপুর: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তেঁতুল খেতে পারলে,  ৩৬% থায়ামিন, ৩৫% আয়রন, ২৩% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৬% ফসফরাস পাবেন। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, কপার এবং পাইরিডক্সিন। রয়েছে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে: তেঁতুলে হাইড্রক্সি সাইট্রিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ রয়েছে যা শরীরে চর্বি জমা হতে বাধা দেয়। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। আর খাবার কম খেলে ওজন কমবেই। যে কারণেই ফুচকার তেঁতুল জলের এত কদর।

স্নায়ুর জন্য ভাল: তেঁতুলে বি ভিটামিন, থায়ামিন রয়েছে- যা স্নায়ুর সঠিক কার্যকারিতা এবং পেশীর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।

জ্বালা, যন্ত্রণা কমায়: তেঁতুল যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে কার্যকর কারণ এতে উচ্চ মাত্রার টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । Geraniol, এটি আরেকটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। বেশ কিছু সমীক্ষাতেই তা দেখা গিয়েছে।  এছাড়াও উচ্চ মাত্রার পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। যা আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যে কারণে ডায়াবিটিক রোগীদের তেঁতুল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।