Child growth: এই ৫ খাবারই আপনার সন্তানকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে, জানতেন…
Food: বাচ্চার খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সবই রাখবেন। কারণ বাচ্চার বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টির প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যাতে খেলাধুলো করে সেদিকেও কিন্তু নজর দিতে হবে
বিজ্ঞাপনে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার জন্য যতই কোনও হেলথ ড্রিংকে ফোকাসে রাখা হোক না কেন আসল হল পুষ্টি। শিশু যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পায় তাহলে সে দ্রুত বেড়ে উঠবে। প্রোটিন,ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট নিয়ম করে সবই রাখুন রোজকার খাদ্য তালিকায়। এছাড়াও আমাদের শরীরের গড়ন, উচ্চতা এসবের উপর কিন্তু জিনেরও প্রভাব রয়েছে। জিনগত কারণের জন্যই অনেকে যেমন দ্রুত লম্বা হয়, তেমনই অনেকে আবার বেঁটেও হয়। এছাড়াও রোজকার জীবনযাত্রা, খেলাধূলো, অভ্যাস এসব কিছুও কিন্তু প্রভাব ফেলে শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে।
শিশুকে ছোট থেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়ান। অতিরিক্ত ওজনও যেমন শরীরের জন্য ভাল নয় তেমনই কিন্তু খুব রোগা হলেও সেখান থেকে আসতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এরকমও হয় যে চেষ্টা করলেও একটা নির্দিষ্ট সীমার পর সে আর লম্বা হতে পারে না। কিন্তু বাচ্চার শরীর যদি সুস্থ থাকে, সেই সঙ্গে নিয়মিত খেলাধূলো করে, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খায় তাহলে লম্বা হবেই। দেখে নিন আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখবেন ওর ডায়েটে।
আমন্ড- প্রতিদিন সকালে চার থেকে পাঁচটা ভেজানো আমন্ড দিন। এছাড়াও একমুঠো ভেজানো বাদামও দিতে পারেন। এতে বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি, স্মৃতিশক্তি ভাল হয়। এছাড়াও বাদামে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন, হেলদি ফ্যাট, ভিটামিন ই। যা শিশুদের হাড় ও দাঁতের গঠন ভাল রাখে। দুধ আর ওটসের সঙ্গে আমন্ড মিশিয়ে ছোট থেকে খাওয়ালে বাচ্চা যেমন ভাল পুষ্টি পায় তেমনই বেড়েও ওঠে তাড়াতাড়ি। হাড়ও শক্ত হয়।
দুধ- বাচ্চারা সহজে দুধ খেতে চায় না। কিন্তু ওদের বেড়ে ওঠার জন্য দুধ অপরিহার্য। দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকরে। এক গ্লাস করে দুধ অবশ্যি দিন। এরসঙ্গে যদি একটা কি দুটো খেজুর মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আরও ভাল। দুধ থেকে প্রাপ্ত ঘি, মাখন, পনির, দই এসবও দিন। দুধে থাকে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম। যা বাচ্চার হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এক গ্লাস দুধ থেকে ৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে বাচ্চার দুধে অ্যালার্জি থাকলে জোর করে দেবেন না।
ডিম- ডিম কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। ডিমের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা হাড়কে শক্ত করে। প্রতিদিন একটা করে সেদ্ধ ডিম দিতে পারলে খুবই ভাল। একটা ডিম থেকে রোজকার চাহিদার অনেকটা প্রোটিনও পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে আসে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম।
শাক-সবজি- বাচ্চারা সবজি খেতে চায় না। কিন্তু জোর করে তাকে সব সবজি খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই। প্রতিদিন শাক, গাজর, টমেটো, ব্রকোলি, পেঁপে, ডাল এসব রাখুন খাদ্যতালিকায়। ছোট থেকেই জোর করে সমস্ত রকম সবজি খাওয়ানো অভ্যাস করুন। এতে বাচ্চার বৃদ্ধি ভাল হয়। সেই সঙ্গে চোখ, হাড়, দাঁতের গঠন ভাল হবে।
সোয়াবিন- সোয়াবিনের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। সোয়া দুধ বা সোয়াবিনের তরকারি, টোফু এসব বাচ্চাকে দিতেই পারেন। সোয়াবিন হল দুধের বিকল্প। সন্তান দুধ খেতে না চাইলে দিতে পারেন সোয়া মিল্ক।