Diet Tips: ৩০-শে পা? সুস্থ থাকতে আজ থেকেই ডায়েটে আনুন এই সব পরিবর্তন
Women Health: বয়স যখন ৩০ তখন কিন্তু একটু বেশিই যত্ন নিতে হবে শরীরের প্রতি। কারণ এই বয়স থেকেই মেয়েরা নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। যে কারণে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং ডায়েট খুবই জরুরি
মেয়েরা এখন আর ৩০ পেরোলেই বুড়ি নন। বরং এই তিরিশে-এসেই শুরু হয় তাঁদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মেয়েদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মানেই কিন্তু বিয়ে-সংসার নয়। বরং এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এই বয়েসে এসে নিজেকে নতুন করে চিনতে শেখেন। নিজের কাজ নিয়ে ভাবেন, কর্মক্ষেত্রে নিজস্ব পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চান। আবার ঝুঁকি নিতেও থোড়াই কেয়ার। বরং মন হঠাৎ করেই অনেকটা সাহস জুগিয়ে ফেলে। ২০ বছরের ভাবনা যেমন বাস্তবের রূপ নেয় তেমনই কিন্তু যা-ইচ্ছে-তাই করে বেড়ানোর জন্য সেরা ৩০-শের যৌবন। তবে নিজের খেয়ালখুশিতে থাকতে গিয়ে শরীরকে মোটেই অবহেলা নয়।
বরং এবার থেকেই ত্বক আর শরীরের যত্নে বেশি করেই মন দিন। কাজের চাপে ব্রেকফাস্ট বাদ দেওয়া কিংবা অতিরিক্ত রাত করে ডিনার- এবার এসব বন্ধ করতে হবে। মাঝে মধ্যে রুটিন ছাড়া হতেই পারেন। তিন্তু তা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়। ত্রিশ পেরোলেই শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। ডায়াবিটিস, রক্তচাপের সমস্যা ছাড়াও আজকাল ওবেসিটি কিংবা হরমোন জনিত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। আর তাই প্রথম থেকেই জোর দিন ডায়েটে।
মেটাবলিজম বাড়ান- একটা বয়সের পর এসে কিন্তু মেয়েদের মেটাবলিক রেট কমে যায়। আর তাই মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেটাবলিক রেট কমে গেলেই ওজন বেড়ে যায়। আর তখন ওজন কমানো ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই জোর দিন প্রতিদিন কত ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন তার উপর। খাবারের মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ প্রোটিন রাখার অবশ্যই চেষ্টা করুন। জটিল কার্বোহাইড্রেট কম খান। সেইসঙ্গে প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট ভাল করে করতে হবে। ডিনার তাড়াতাড়ি সারুন এবং যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান।
ফাইবার রাখুন- রোজকার খাবারে অবশ্যই রাখুন ফাইবার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে যেমন মেটাবলিজম ভাল থাকবে তেমনই কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তাই শাক-সবজি, ফল এসব বেশি পরিমাণে খান। প্রতি মাসে নিজের ওজন অবশ্যই মেপে দেখে নেবেন। প্রসেসড ফুড একেবারেই নয়।
ভেষজ খাবার খান- ৩০-শে বেশিরভাগ মেয়েই নানা হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগেন। সেখানে যেমন থাকে থাইরয়েডের সমস্যা তেমনই কিন্তু থাকে পিসিওএস বা পিসিওডি সংক্রান্ত সমস্যা। আর তাই অশ্বগন্ধা, তুলসি এসব নিয়মিত রাখুন ডায়েটে। রোজ সকালে খালিপেটে আমলা জুস খেতে পারেন। এতে শরীরের হরমোন ঠিকমতো কাজ করে। চোখ ভাল থাকে। আয়োডিনের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন একটা করে লেবু জাতীয় ফল অবশ্যই খাবেন।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান- আজকাল বেশিরভাগই পিরিয়ডস সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগেন। আর মাসিকে সমস্যা হলেই ঘাটতি হয় আয়রনে। সেই সঙ্গে ৩০ এর পরই মেয়েরা আজকাল মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এসব কারণেই রক্তে আয়রনের মাত্রা বজায় রাখা খুবই জরুরি। কুমড়োর বীজ, কিশমিশ, মাংস, বিনস, শাকসবজি এসব বেশি পরিমাণে খান। এতে শরীর যেমন ক্লান্ত লাগবে না তেমনই হবে না আয়রনের ঘাটতি।
আরও পড়ুন: Type 2 Diabetes: রক্তে বেড়েছে চিনি? চিন্তা নেই, জাপানি এই নুডলস আপনার রক্তচাপ রাখবে নিয়ন্ত্রণে!