Breakfast ideas: রোজকার ব্রেকফাস্টে রাখুন এই ৪ প্রোটিন! কমবে ওজন, বাড়বে এনার্জিও…
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা আসে। এছাড়াও সারাদিন ক্লান্তি ভাব থাকে। যে কারণে তা স্কিপ করা ঠিক নয়
শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ব্রেকফাস্টের ( Breakfast)। রাতের দীর্ঘ উপবাসের পর সেই উপবাস কিন্তু ভাঙা হয় ব্রেকফাস্ট দিয়ে। আর তাই ব্রেকফাস্ট কখনই বাদ দেওয়া উচিত নয়। বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করার একটা প্রবণতা থাকে। আর এই মানসিকতা থেকে কিন্তু দূরে থাকাই ভাল। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীর দুর্বল ( Health Problem) হয়ে যেতে পারে। সারাদিন একটা ক্লান্তি ভাব থাকে, সেই সঙ্গে এনার্জিও ( Energy) পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের যাবতীয় পুষ্টি রক্ষায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকফাস্ট। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ আমরা ব্রেকফাস্ট থেকেই পেয়ে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন বড় রোগের ঝুঁকি কমানো, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখা ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ব্রেকফাস্ট। তবে ব্রেকফাস্টে কী খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান ভাবে জরুরি।
অনেকেই ব্রেকফাস্টে পরোটা, নুডুলস, ব্রেড জ্যাম, ব্রেড বাটার, পুরি-সাবজি খেতে পছন্দ করেন। এই সব সুস্বাদু খাবার আমাদের পেট ভরাই ঠিকই, সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও বাড়ায়। এছাড়াও দিনের পর দিন এই খাবার খেতে থাকলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওজন বাড়ে, আলস্যি আসে। সঙ্গে কিন্তু বাড়তে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রাও। তাই ব্রেকফাস্টে এমন কিছু খাবার রাখুন যাতে পেট ভরবে আর শক্তিও পাবেন। সেই সঙ্গে কমবে ওজন।
কেন প্রোটিন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
মানবদেহের প্রতিটি কোষে প্রোটিন থাকে। প্রোটিনের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা কোশের খাদ্য। ফলে নতুন কোশ গঠনে প্রোটিনের প্রয়োজন। যে কারণে শরীরে প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে না গেলে ত্বক, চুলের সমস্যা দেখা দেয়। একই সঙ্গে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যা আসে। ফলে যা কিছু রাখতে পারেন ব্রেকফাস্টে।
ওটস- বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে ভাল হল ওটস। দই ওটস ফল দিয়ে বা বিভিন্ন ফল ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে দুধ দিয়ে খান। বা বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের খিচুড়িও। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এতে কিন্তু পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ওজনও বাড়ে না। সব বয়সের সব মানুষ খেতে পারেন ওটস। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
অঙ্কুরিত ছোলা মুগ- রাতে ছোলা, মটর, বাদাম, মুগ এসব ভিজিয়ে রাখুন এক বাটি। পরদিন সকালে তা দিয়ে স্যালাদ বানিয়ে নিন। মধু ছড়িয়ে বা এই অঙ্কুরিত ছোলা মুগের সঙ্গে লেবুর রস আর শসার কুচি মিশিয়ে খান। এতে পর্যাপ্ত পুষ্টি যেমন পাওয়া যায় তেমনই কিন্তু শরীর থাকে হালকা।
ডিমের ভুর্জি- ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর প্রোটিন। আর তাই ব্রেকফাস্টে বানিয়ে নিতে পারেন ডিমের ভুর্জি। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন গোলমরিচের গুঁড়ো। খেতে যেমন ভাল তেমনই শরীরও ভাল থাকে।
পোহা- পোহা বা চিঁড়ের পোলাও বানিয়ে নিতে পারেন। শীতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ সবজি পাওয়া যায়। আর এই সবজি দিয়েই বানিয়ে নিন পোলাও। চাইলে উপর থেকে লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।