Home Remedies: বিদায় নিচ্ছে শীত, শরীর সুস্থ রাখতে চুমুক দিন বিট-আমলার জুসে!
শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে বিটের। বিট শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যে কারণে সারাদিনের এনার্জিতে কোনও ঘাটতি পড়ে না
নিম্নচাপের ভ্রুকুটি এখন ঋতুবদলের সঙ্গী। এবার পায়ে পায়ে বিদায়ের পালা শীতের। বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শুকনো গাছে দু একটা রঙিন পাতাও দেখা দিয়েছে। বসন্তকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত প্রকৃতি। তবে শীত থেকে বসন্তের এই পালাবদলের মধ্যবর্তী সময়ে সকলেই কমবেশি ভোগেন। জ্বর, সর্দি, কাশি-কফের সমস্যার পাশাপাশি থাকে পক্স, হামের সম্ভাবনাও। এই সময় যে কোনও সংক্রমণই সক্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়াও কোভিড এখনও পুরোপিরি বিদায় নেয়নি। ফলে ফ্লু এর আশঙ্কাও কিন্তু থেকে যায়। তাই পুষ্টিবিদরা সব সময় পরামর্শ দেন এই সময়টা যত্নে থাকার জন্য। নিজের শরীরের যত্ন কিন্তু নিজেকেই নিতে হবে। ওষুধের ভরসায় না থেকে প্রাকৃতিক ভাবেই যাতে বাড়িয়ে তোলা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেদিকেও কিন্তু নজর রাখতে হবে। পুষ্টিবিদ রূপালী দত্তের মতে, এই সময়টা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কিন্তু খুবই জরুরি।
রোজকার তালিকায় শাক, নিমপাতা, সজনে ফুল, সজনে শাক এসব রাখতে পারলে খুবই ভাল। বাইরের খাবার, জল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। শরীর যাতে সঠটিক পুষ্টি পায় আর হজম যাতে ঠিকমতো হয় সেদিকে নজর রাখা কিন্তু অবশ্য কর্তব্য। তাই এই সময় রোজ সকালে একগ্লাস বিট আর আমলার জুস খান। এই পানীয়র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। সেই সঙ্গে শরীরেও গড়ে উঠবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর এই বিটরুট জুস কিন্তু আমাদের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে।
*বিট হল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। বিটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্যই কিন্তু তা শরীরের পক্ষে এত ভাল। আমলার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তাই বিটরুট আমলার জুস কিন্তু শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে খেলে খুব ভাল ফল পাবেন।
*বিটরুটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এছাড়াও থাকে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরকে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধেই লড়তে সাহায্য করে।
*শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে বিটের। বিট শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যে কারণে সারাদিনের এনার্জিতে কোনও ঘাটতি পড়ে না। এছাড়াও আমলায় থাকে কোয়ারসেটিন, গ্যালিক অ্যাসিড, কোরিলাগিন এবং এলাজিক অ্যাসিডের মত ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
*অন্ত্রের যে কোনও ক্ষত সারিয়ে অন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমলার। আমলা আমাদের বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বিটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। সামগ্রিক ভাবে পেট ভাল রাখে। গ্যাস অম্বলের সমস্যাতেও খুব ভাল কাজ করে।
যে ভাবে বানাবেন এই জুস
বিট, আদা, আমলা, পুদিনা সরু করে কেটে নিন। এবার জল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে স্বাদমতো নুন এবং ভেজে গুঁড়ো করা জিরে মিশিয়ে নিন। লেবুর আর মধু সহযোগে খেতে পারেন। এছাড়াও শুধু লেবুর রস যোগ করেও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Potato: আলু খেলে কি সত্যিই ওজন কমে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, জানুন…