Mira Kapoor Diet: ”টানা ৮ ঘন্টা উপবাস করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেছিলাম তবে কাজে আসেনি’, ডায়েট নিয়ে যা বললেন মীরা…

Intermittent Fasting: বেশ খানিকক্ষণ উপবাস থেকে খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের পর খাবার এড়িয়ে চলা এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে পারলে কিন্তু ভাল। এতে কর্মদক্ষমতা বাড়ে

Mira Kapoor Diet: ''টানা ৮ ঘন্টা উপবাস করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেছিলাম তবে কাজে আসেনি', ডায়েট নিয়ে যা বললেন মীরা...
জানুন মীরার ডায়েট প্ল্যান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 10:14 PM

বলিউডে সরাসরি কাজ না করলেও মীরা কাপুরের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান ফলোইং দেখে চমকে যেতে হয়। যে কোনও বলিউড তারকার কাছেই তা ঈর্ষণীয়। দুই সন্তান, সংসার, নিজের কাজ- সব কিছু দারুণ ভাবে সামলে চলেন মীরা। এর ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তাঁর ফিটনেস টিপস। সেই সঙ্গে রূপচর্চা, ফ্যাশন, ত্বকের যত্ন- সবই থাকে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করেন মীরা রাজপুত। সম্প্রতি মীরা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি বলেন, দুই সন্তানের মা হয়ে প্রথমে তিনি নিজেও ভাবছিলেন যে এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করা উচিত কিনা। এরপর তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করেন। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখলেন এই ডায়েট তাঁর জন্য মোটেও কার্যকরী নয়। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন- প্রত্যেক মানুষের শরীরের গড়ন আলাদা। প্রত্যেকের শরীরের চাহিদা আলাদা। ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে আমি থাকতে পারব না। আর তাই দেখলাম এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কিন্তু আমার জন্য নয়।

এর আগেও মীরা তাঁর ব্রেকফাস্ট প্রীতির কথা জানিয়েছিলেন। সারাদিনে যাই হয়ে যাক না কেন মীরা কোনও ভাবেই তাঁর ব্রেকফাস্ট বাদ দেন না। নিরামিষাশী মীরার সবথেকে প্রিয় হল দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। রুটি তাঁর প্রিয় খাবার। ব্রেকফাস্টে রোজ নারকেলের দুধে চিয়া সিডস, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখী বীজ, ওটস আর মধু দিয়ে খান তিনি। এছাড়াও লাঞ্চে খান ইডলি- সাম্বার ও চাটনি।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?

ধরা যাক সকাল ৮টায় খুব ভারী ব্রেকফাস্ট করলেন। তারপর আবার সেই বিকেল ৪টেয় দুপুরের খাবার খেলেন। এই পুরোটা সময় অন্য কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। এভাবেই দিনে একটানা অনেকক্ষণ উপোস করা হয় এই পদ্ধতিতে। প্রথমে কম দিয়ে শুরু করলেও অনেকেই ১২-১৬ ঘণ্টা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। সেক্ষেত্রে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। ফলে, ঘুমনোর সময়েই ৭-৮ ঘণ্টা এমনিতেই গ্যাপ হয়ে যাবে। আর সকালে সময় মতো খেলেই হল। এই প্রক্রিয়াতে চর্বি পোড়ানো অনেক সহজ। সেই সঙ্গে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ভাল হয়।

এই ফাস্টিং করলে যা কিছু নিয়ম মেনে চলবেন-

১.যদি আপনি সদ্য ডায়েট শুরু করে থাকেন তাহলে সরাসরি ১৬ ঘন্টার ফাস্টিং করবেন না। এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণ ডায়েটে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। বড়জোর ১২ ঘন্টার গ্যাপ রাখবেন।

২.সব ডায়েট আপনার শরীরের জন্য ভাল নয়। এটা মন থেকে মানতে শিখুন। ১৬ ঘন্টা ফাস্টিং করলেই যে শরীর ভাল থাকবে এমন নয়।

৩.ফাস্টিং এর শুরু এবং শেষে কোনও বড় মিল রাখবেন না। এতে শরার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাবেন না।

৪.শরীরচর্চা করতেই হবে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন শরীরচর্চা কিন্তু চালিয়ে যেতেই হবে।