Post Covid Diet: সদ্য ওমিক্রন থেকে সেরে উঠেছেন? এই কয়েকটি খাবার কিন্তু একেবারেই নয়

সুস্থ থাকতে অন্তত ৬ মাস বাড়ির তৈরি খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বাইরের খাবার কিন্তু একেবারেই নয়

Post Covid Diet: সদ্য ওমিক্রন থেকে সেরে উঠেছেন? এই কয়েকটি খাবার কিন্তু একেবারেই নয়
বাড়ির তৈরি খাবার খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 9:40 PM

কোভিড-ওমিক্রন ( Covid-19) ঢেউয়ে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে রোগ জটিলতা তেমন না থাকায় সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এবারের কোভিডের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গের মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। সর্দি-কাশি-জ্বরের ( Influenza)  সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেকেই তাই বুঝতে পারছেন না আদৌ কোভিডে আক্রান্ত নাকি অন্য কোনও সমস্যা। যে কারণে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। রোগ-লক্ষণ তেমন জটিল নয় বলে অনেকেই সঠিক নিয়ম মানছেন না। বাড়িতে না থেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। আর এসব কারণেই ভীত চিকিৎসকেরা। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে কোনও ভাবেই ওমিক্রনকে ( Omicron) হালকা ভাবে না নেওয়ার জন্য। ওমিক্রন পরবর্তী সময়ে থেকে যাচ্ছে নানা রকম জটিলতা। ওমিক্রন থেকে সেরে উঠলেও দুর্বলতা, কফ, কাশি, হজমের অসুবিধে, ক্লান্তি এসব কিন্তু থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। যে কারণে বাড়ছে লং কোভিডের সমস্যা। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে, কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার পরও প্রায় ৬৮ দিন থেকে যাচ্ছে এই সব শারীরিক সমস্যা।

আর তাই কোভিডের সংক্রমণ কেটে গেলেও আবার আগের জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। সেই সময় কিন্তু ভাল খাওয়াদাওয়া, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা জরুরি। এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে অল্পতেই শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময় যেমন পুষ্টিকর খাবার খাবেন তেমনই কিন্তু কিছু খাবার থেকে একেবারেই দূরে থাকবেন। অন্তত ৬ মাস। দেখে নিন সেগুলি কী কী-

বাইরের খাবার- সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও বাইরের খাবার কিন্তু একেবারেই নয়। এতে পরবর্তীতে জন্ডি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বাইরের খাবারে তেল-মশলা যেমন বেশি থাকে তেমনই উপযুক্ত হাইজিনও মানা হয় না অনেক সময়। এই সময় মুখের স্বাদ তেমন না থাকায় নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছে করে। তবে তা বাড়িতেই বানিয়ে খান।

কেক-কুকিজ- অনেকেই কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর মিষ্টির বাইরে অন্য কোনও স্বাদ পাচ্ছিলেন না। ফলে মিষ্টি, কেক, কুকিজ এই সব বেশি খাওয়া হচ্ছিল। মনে রাখবেন এই সব খাবার কিন্তু যত কম খাওয়া হয় ততই ভাল। এতে যেমন সুগার বাড়ে তেমনই আসে হাজারো সমস্যা।

প্যাকেটজাত খাবার- চিপস, চানাচুর, ভুজিয়া, সসেজ এসব প্যারেটজাত খাবার যত এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই ভাল। এই সব খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ নুন থাকে। থাকে প্রিজারভেটিভ। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পরবর্তীতে হতে পারে কিডনির সমস্যা।

ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন- কোনও রকম ট্রান্স ফ্যাট রাখবেন না ডায়েটে। এতে সমস্যা অনেক বেশি হয়। অসুস্থ শরীরে ফ্যাট জমলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমে যায়।

হালকা খাবার খান- যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান। তেল-মশলা একেবারেই নয়। বয়েলড ফুড খাবার চেষ্টা করুন। যে সব মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে করবে তা বাড়িতেই বানিয়ে নিন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Almond Benefits: ওষুধ নয়, আমন্ড-ই কমায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও সুগার! কখন খাবেন জেনে নিন…