AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parle-G: দীর্ঘ ২৭ বছর পর দাম বেড়েছে মাত্র ১টাকা! মূল্যবৃদ্ধির বাজারেও ১ প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য এত সস্তা কেন, জানেন?

Indian Market: ১৯৯৪ সাল। ছোট্ট এক প্যাকেট পার্লে জি-এর দাম ছিল ৪ টাকা। বর্তমানে ছোট প্যাকেট পার্লে জি-এর দাম ১ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা। কেন দাম বাড়াতে বাধ্য হল সংস্থা? কীভাবেই বা দীর্ঘ ২৭ বছর একই দামে বিস্কুট দিতে পারল তারা?

Parle-G: দীর্ঘ ২৭ বছর পর দাম বেড়েছে মাত্র ১টাকা! মূল্যবৃদ্ধির বাজারেও ১ প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য এত সস্তা কেন, জানেন?
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 8:23 PM
Share

পার্লে জি (Parle-G) শুধু কোনও ব্রান্ডের নাম নয়, বা নিছক কোনও বিস্কুট (Biscuits) নয়। পার্লে জি একটা আবেগের নাম। কতশত খুদের স্কুলের টিফিনের নাম পার্লে জি। হাসপাতালের বাইরে রোগীর চিকিৎসা করাতে আসা আত্মীয়ের ক্ষুধা নিবৃত্তির নাম পার্লে জি। দূর যাত্রার সঙ্গী পার্লে জি। প্রত্যন্ত গ্রামে চায়ের দোকানে প্রাতঃরাশের নাম পার্লে জি। ছোট্ট একটা প্যাকেট। তাতে ঠাসা বিস্কুট। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পার্লে জি ভারতের সমাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে এই মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) বাজারে যেখানে প্রতিটি ভোগ্যমূল্যের দাম বাড়ছে চড় চড় করে, সেখানে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা দামও রেখেছে এক! ২০২২ সালে পার্লে জি ছোট প্যাকেট বিস্কিটের দাম বাড়িয়েছে মাত্র ১ টাকা। কীভাবে এমন স্বল্প মূল্য ধরে রাখতে পারল পার্লে জি? প্রফেশনালদের এক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সুইগির ডিজাইন ডিরেক্টর সপ্তর্ষি প্রকাশ এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন—

‘১৯৯৪ সালে পার্লে জি-এর ছোট প্যাকেটের দাম ছিল ৪ টাকা। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই বিনিময় মূল্যের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। তবে ২০২২ সালে মাত্র ১ টাকা দাম বাড়িয়েছে পার্লে জি। কীভাবে সম্ভব হল এমন বিস্ময়কর কাজ!’তিনি জানিয়েছেন, আসলে পার্লে জি একটি অদ্ভুত কাজ করছে। ধীরে ধীরে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলেছে! কীরকম? তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ছোট প্যাকেট শব্দবন্ধ ব্যবহার করছি তখন ক্রেতার মাথায় কোন ছবি ভেসে উঠছে? একটা ছোট প্যাকেট যা হাতের মুঠোয় সহজেই এঁটে যায়। আর সেই প্যাকেটে কী রয়েছে? একাধিক বিস্কুট। বেশিরভাগ মানুষ এভাবেই বিষয়টিকে বিচার করবে তা পার্লে জি বুঝতে পেরেছিল।’ সুতরাং, তারা দাম বাড়ানোর পরিবর্তে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করল এবং সময়ের সঙ্গে বিস্কুটের পরিমাণ কমাতে থাকল।

‘পার্লে জি যখন প্রথম বাজারে এসেছিল তারা এক প্যাকেটে দিত ১০০ গ্রাম বিস্কুট। কয়েকবছর পর বিস্কুটের ওজন হল ৯২.৫ গ্রাম। তারপর ৮৮ গ্রাম। এখন ৫ টাকায় পাওয়া যায় ৫৫ গ্রাম। শুরুর থেকে বিচার করলে প্রায় ৪৫ শতাংশ কম!’— জানিয়েছেন সপ্তর্ষি। কমনীয় এবং সহনীয় পদ্ধতিতে বিস্কুটের এই হ্রাস বেশিরভাগ গ্রাহকের নজরেই আসেনি। ব্যবসার ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলে গ্রেসফুল ডিগ্রেডেশন। তিনি বিশ্লেষণ করেছেন— ‘বহু সংস্থা পট্যাটো চিপস, চকোলেট বার, টুথপেস্ট তৈরি করে। তারাও কিন্তু একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।’ ব্যবসার এই দিকটি সম্পর্কে আপনার মতামত কী? জানাতে ভুলবেন না।