Soaking Mangoes Before Eating: আম কাটার আগে জলে ভিজিয়ে রাখার কারণ জানেন? বৈজ্ঞানিক কারণই বা কী…
Mango For Health: আম পাকানো হয় কার্বাইড দিয়ে। এই রাসায়নিকের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। আর তাই আম জলে ধুয়ে তবেই খাওয়া উচিত
Mango: শুধু আমই নয়, যে কোনও ফল খাওয়ার আগে ধুয়ে নিয়ে তবেই কাটা উচিত। কারণ ফলের ত্বকে লেগে থাকা রাসায়নিক, নোংরা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর ফল পাকানো হয় কার্বাইড দিয়ে। এই কার্বাইড যদি মানুষের শরীরে যায় তাহলে সেখান থেকে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আসতে পারে। খিদে মন্দা, বমি ভাব এসব লেগে থাকে। শুধু আমই নয়, যে কোনও সবজিও ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে বাজার থেকে যে কোনও সবজি আনার পর তা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে তবেই রান্না করার কথা বলেছিলেন চিকিৎসকরা। এখনও অনেক বাড়িতেই রয়েছে সেই অভ্যাস। তবে ফল, সবজি ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু আজকের নয়। সেই দিদা-ঠাকুমাদের আমল থেকে। এই অভ্যাস বেশ স্বাস্থ্যকর। তবে কেন আম কিছুটা সময় জলে ভিজিয়ে তারপরই খাবেন-
ফাইটিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি
ফাইটিক অ্যাসিড অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত। এই অ্যাসিড আমাদের শরীরের কিছু খনিজ যেমন আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজগুলির শোষণে বাধা দেয়। যার ফলে শরীরে খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের মতে, আমে ফাইটিক অ্যাসিড নামে পরিচিত একটি প্রাকৃতিক অণু থাকে যা বিভিন্ন ফল, সবজি এমনকী বাদামেও দেখা যায়। তাই, আমকে কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখলে তা শরীরে তাপ উৎপন্নকারী অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।
রোগের থেকে মুক্তি
ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিনিয, মাথাব্যথা, অন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যদি আম এইভাবে কিছুটা সময় জলে ভিজিয়ে তারপর খাওয়া হয়। আম জলে ভিজিয়ে রাখলে অতিরিক্ত তাপ তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া ও অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কীটনাশক প্রয়োগের ফলে
যে সব রায়ায়নিক ও কীটনাশক আমকে কীট-পতঙ্গের হাত থেকে ক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তা বিষাক্ত এবং শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। যেখান থেকে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অ্যালার্জি , মাথাব্যথা, চোখ এবং ত্বকের জ্বালা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি আসতে পারে।
ঠান্ডা রাখা আম শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ায় যার ফলে থার্মোজেনেসিস হয়। তাই আমকে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা তাদের থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য তুলনায় অনেকটা কম হয়। এছাড়াও আমে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে। যা ভিজিয়ে রাখলে দূর হয়।