Green Peas: কচুরি থেকে পোলাও খেতে তো বেশ ভালই লাগে, কিন্তু বেশি খেলেই লুকিয়ে বিপদ!
Health: যাঁদের পাকস্থলী সংবেদনশীল, পাকস্থলীতে আলসার, রক্ত জমাট বাঁধা, থ্রম্বোফ্লেবিটিসের মতো সমস্যা তাদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে
শীতকাল মানেই বাজারে আসে প্রচুর রকম সবজি। গাজর, বিনস, বিটের সঙ্গে ছোট্ট করে জুড়ে থাকে কড়াইশুঁটি। শীতকাল মানেই কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুর দম। এছাড়াও কড়াইশুঁটির তরকারি, পোলাও এসব তো আছেই। কড়াইশুঁটির উপকারিতা অনেক। মসুর ডাল, চিনেবাদাম, ছোলা ইত্যাদির মত কড়াইশুঁটিও পুষ্টিতে ভরপুর। কড়াইশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবারও রয়েছে। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধেও কিন্তু সাহায্য করে কড়াইশুঁটি। আর কড়াইশুঁটি কিন্তু কাঁচা খেতেও ভাল লাগে। বিশেষত স্যালাডে। তবে সব সময় ভাপিয়ে খেতে পারলেই উপকার বেশি।
কড়াইশুঁটির মধ্যে থাকা ফাইবার, প্রোটিন এবং ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস শরীরের ভেতর প্রবেশ করে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। সেই সঙ্গে যেমন পেট ভর্তি থাকে তেমনই কিন্তু খিদেও কম পায়। সেই সঙ্গে কড়াইশুঁটিতে থাকে পলিফেনল। যা কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। কারণ ক্যানসার কোশের বৃদ্ধি আটকে দেয় এই পলিফেনল। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই ছোট্ট সবুজ দানার। তবে ভুলেও কিন্তু কড়াইশুঁটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। কারণ এখান থেকে আসতে পারে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা
অতিরিক্ত কড়াইশুঁটি খেলে শরীরে ভিটামিন-কে এর পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই ভিটামিন কিন্তু আমাদের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শক্তি বাড়াতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিন-কে এর। এছাড়াও রক্তে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ বাড়লে কিন্তু প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যায়। যাঁদের পাকস্থলী সংবেদনশীল, পাকস্থলীতে আলসার, রক্ত জমাট বাঁধা, থ্রম্বোফ্লেবিটিসের মতো সমস্যা তাদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
এছাড়াও হতে পারে ডায়ারিরার সমস্যাও। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে গ্যাস, বদহজম, পেট খারাপ এসব তো লেগেই থাকে। যাঁদের গ্লুটেনে সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু অতিরিক্ত মটরশুঁটি খাওয়া একেবারেই চলবে না। এছাড়াও চেষ্টা করুন ফ্রোজেন মটরশুঁটি এড়িয়ে যেতে। কারণ এই সব মটরশুঁটি আমাদের শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত পরিমাণ কড়াইশুটি খেলে কিন্তু শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকে। যা কিন্তু আর্থ্রাইটিসের প্রধান কারণ। এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে এমনিই লেগে থাকে নানা রকম ব্যথা। আর তাই বেশি মটরশুঁটি খেলে হতে পারে বাতের সমস্যা।
মটরশুঁটি কিন্তু বেশি খেলে হতে পারে গ্যাসের সমস্যা। যে কারণে কাঁচা মটরশুঁটি খেলে সহজে হজম হয় না। এছাড়াও এই হজম জনিত সমস্যার কারণেই কিন্তু মটরশুঁটি বেশি না খাওয়াই ভাল।
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে মটরশুঁটির। কিন্তু মটরশুঁটির মধ্যে থাকে কার্বোহাইড্রেটও থাকে। আর তাই যদি প্রতিদিন মটরশুঁটি খান, ক্রিম, ব্রকোলি দিয়ে তৈরি স্যুপ খান তাহলে কিন্তু ওজন বাড়বেই।
আরও পড়ুন: Butter Chicken: পাঞ্জাব নয়, পুরনো দিল্লির গলিতে জন্ম বাটার চিকেনের! এর আসল রন্ধনপ্রণালী জানা আছে?