শীতে সুস্থ থাকতে মেনুতে এই সব খাবার রাখতেই হবে
শীতের সময় ডায়েটে এক্সট্রা ক্যালোরি রাখতে পারেন। কারণ এই সময় খাবার হজম হয় সহজে।
সোয়েটার, লেপ, চাদর ধীরে ধীরে বেরিয়ে পড়ছে আলমারির নীচের তাক থেকে। ন্যাপথলিনের গন্ধ ঝেড়ে ফেলে তাদের এবার আপন করে নেওয়ার সময়। শীতের (winter season) সময় ডায়েটে (food) এক্সট্রা ক্যালোরি রাখতে পারেন। কারণ এই সময় খাবার হজম হয় সহজে। ফলে পছন্দমতো খাবার খাওয়ার এই তো সময়। ওজন বেড়ে যাবে, এই টেনশন না করেই মেনু সাজাতে পারেন। কিন্তু শীতকালীন ডায়েটে কয়েকটা জিনিস মাস্ট। তাহলে শরীরও ভাল থাকবে, আবার ইচ্ছেমতো সাজানো যাবে মেনু।
মধু
মধুর মধ্যে থাকা বিবিধ উপাদান শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। যেটা শীতকাসে ভীষণ প্রয়োজন। এই কারণেই গ্রীষ্মকালে মধু খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোলেস্টরলের ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মধু উপকারী। ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে মধু খেতে পারেন নিয়মিত।
আরও পড়ুন, বাড়িতেই তৈরি করুন আপেলের এই দু’টি সহজ রেসিপি
মাটির নীচের সবজি
বিট, গাজরের মতো যে সব সবজি মাটির নীচে ফলন হয়, শীতের সময় সে সব খুব উপকারি। নিয়মিত রান্না করে খেতে পারেন। যদি তা সম্ভব না হয়, স্যালাড হিসেবেও ডায়েটে রাখতে পারেন এই ধরনের সবজি।
ঘি
শরীর গরম রাখতে ঘি অত্যন্ত জরুরি উপাদান। শীতকালে রুটি বা পরোটাতে মায়েরা যদি একটু বেশি ঘি লাগিয়ে দেন, তাতে রেগে যাবেন না। বরং তার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। শরীরকে উষ্ণ রাখতে ঘি খেতে পারেন নিয়মিত।
আদা
আদার মধ্যে থাকা থার্মোজিনিক উপাদান শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল করতেও আদা উপকারী। সর্দি-কাশিতে আদা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেহে কাজ করে।
আরও পড়ুন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মন খারাপ কাটিয়ে উঠবেন কীভাবে?
ড্রাই ফ্রুট
শীতকালীন মেনুতে রাখতে পারেন যে কোনও ধরনের ড্রাই ফ্রুট। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন শরীর ভাল রাখবে শীতকালে। তুলসী তুলসীর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং জিঙ্কের উপাদান। যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে নিয়মিত খান তুলসী।