Dinner Tips: রোগভোগের বালাই থাকবে না যদি সন্ধে ৭টার পর এই কয়েকটি খাবার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকেন
Is late dinner healthy: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা মানেই শরীরের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া। রাতের খাবার যদি দেরিতে খান কিংবা প্রায়শই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক সমস্যা
দিনের মধ্যে আমরা যে চার খাবার খাই অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্ন্যাক্স এবং ডিনার- এই চার খাবারই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ রকম উপকারী। খাবার থেকেই আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় শক্তি পেয়ে থাকি। হজম যদি ভাল হয়, নিয়ম মেনে যদি ঘুমোতে যান এবং সেই সঙ্গে যদি মন ভাল থাকে তাহলে রক্তচাপ নিজে থেকেই থাকবে নিয়ন্ত্রণে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা মানেই শরীরের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া। রাতের খাবার যদি দেরিতে খান কিংবা প্রায়শই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক সমস্যা। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বমি এসব লেগেই থাকবে। খাবার ঠিকভাবে না খেলে রাতে ঘুমও আসে না। পরবর্তীতে ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
ধরা যাক ডিনারে সামান্য রুটি-তরকারি খেলেন বা স্যুপ খেলেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে যে আপনি খুবই স্বাস্থ্যকর কোনও খাবার খাচ্ছেন। কিন্তু সেই খাবার খেয়েও দেখলেন খুবই সমস্যা হচ্ছে। কারণ একটাই, আপনি সময়ে সেই খাবার খাননি। রাতের খাবার যতই দেরি করে খাবেন তত কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি। তাই রাতের খাবার চেষ্টা করুন সাড়ে সাতটার মধ্যে সেরে ফেলতে। বড়জোর ৯ টা। এতে পেট জ্বালা, পেটের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ কোনও কিছুই আসবে না। সেই সঙ্গে ঘুম ভাল হবে। যদি সন্ধ্যে ৭ টায় ডিনার করে পরে খিদে পায় তাহলে দুধ খেজুর বা দুধ আমন্ড খেতে পারেন। তবে যে সব খাবার ডিনারে একেবারেই চলবে না
মাটন বিরিয়ানি- এই খাবারের নাম শুনলেই সকলের জিভে জল চলে আসে। তবে রাতে এই মাটন বিরিয়ানি কিন্তু একেবারেই চলবে না। মাটন বিরিয়ানির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। আছে চর্বি। এক প্লেট মাটন বিরিয়ানিতে ক্যালোরি রয়েছে ৫০০-৭০০। আর তাই এই বিরিয়নি আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কারণ এই বিরিয়ানি থেকেই বাড়ছে ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। আসছে আরও নানা প্রাণঘাতী রোগও। তাই রাতে বিরিয়ানি কোনও মতেই চলবে না।
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার- ভারতীয় রান্নাঘরে যত মশলা ব্যবহার করা হয় তা আর অন্য কোথাও কিন্তু করা হয় না। চিকেন, মাচন সবই মশলাদার। অনেকেই রাতে নান, পরোটা বা লুচির সঙ্গে কষা মাংস, আলুর দম এসব খেতে পছন্দ করেন। রাতে ঘিয়ে ভাজা পরোটার সঙ্গে মাটন কষা খেলে হজমে খুবই সমস্যা হয়। যে খান পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা আসতে পারে। তাই তেল, ঘি এসব রাতে কিন্তু একেবারেই চলবে না।
মিষ্টি- শেষ পাতে মিষ্টি খাওয়া আমাদের চিরকালীন অভ্যাস। তবে খুব ইচ্ছে করলেও কিন্তু সন্ধ্যে ৭ টার পর মিষ্টি তলবেন না। মিষ্টি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। মিষ্টি মোটেই কোনও খাবার হজম করাতে সাহায্য করে না। বরং মিষ্টি রাতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়।
ভাজা- বর্ষাকালে যে কোনও ভাজা খাবারের প্রতি আমাদের প্রবল আকর্ষণ থাকে. তবে সন্ধে ৭ টার পর কিন্তু একেবারেই ভাজা খাবার চলবে না। সে যতই ইচ্ছে করুক। কারণ পকোড়া বা চপ এসব ডিপ ফ্রাই করা হয়। রাতে খেলে পাকস্থলীতে হজমের সমস্যা হতে পারে। যে খান থেকে ঘুম কম হয়।
কফি- রাতের পর রাত জাগতে অনেকেই চুমুক দেন কফি কাপে। যা ভয়ংকর রকমের ভুল। আবার অনেকের ধারণা ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি খেলে ভাল ঘুম হয়। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা, কফি কোনও কিছুই খাবেন না। এতে শরীর অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ঘুমও হয় না। তাই সন্ধে ৬ চার পর কোনও কফি ডেট নয়।