Navratri Food: নবরাত্রির উপবাসে সাধারণ এই কয়েকটি নিয়ম মানলেই ঝরবে ওজন
Weight Loss Tips: বেশি করে সবজি, ফল, জল খান। এতেই কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ। সেই সঙ্গে রোজ একটা ডাবের জল খান। বাইরের যে কোনও খাবারই একেবারে এড়িয়ে চলুন
ভারতের যে কোনও উৎসবের সঙ্গেই কিন্তু যোগ রয়েছে খাবারের। খাবার ছাড়া যে কোনও উৎসবই অসম্পূর্ণ। তেমনই যে কোনও খাবারের মজা তখনই পাওয়া যায় যখন তা বিতরণ করা হয়। আর তাই পুজোর খিচুড়ি, পোলাও খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই প্রসাদের নারকেল নাড়ু, খই, ফল, মিষ্টি, মোয়া খেতে সকলে মুখিয়ে থাকেন। বসন্তে দেশজুড়েই পালিত হয় নবরাত্রি উৎসব। আর এই নবরাত্রিতে কিন্তু অনেকেই ব্রত রাখেন। সারাদিন উপোস রাখার পর সন্ধ্যেতে তুলসী তলায় প্রদীপ দিয়ে ব্রত পালনের নিয়ম রয়েছে। এই ১০ দিন নিরামিষ খাবার খেতে হয়। সেই সঙ্গে সারাদিন জল, ফল, কফি এসব খেয়েই থাকার কথা বলা হয়। সন্ধ্যেবেলায় ব্রত ভঙ্গ করে কেউ খান সাবুদানার খিচুড়ি, কেউ আবার লুচি-পরোটা। কিন্তু দিনের পর দিন এই ভাবে খাবার খেলে তাতে শরীরেরই সমস্যা হয়। ওজন বাড়ে, হজমের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে একনাগাড়ে এই রুটিনও কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
তবে সারাদিন না খেয়ে হঠাৎ করে রাতে খেলে বেশি খাওয়া হয়। সেই সঙ্গে খিদে পায় বলে প্রয়োজনের থেকে বেশিও খাওয়া হয়ে যায়। উপোসের দিনে যা কিন্তু সাধারণ সমস্যা। আর রাতের বেলা যদি সময়ে না খাওয়া হয় এবং পরিমাণে বেশি খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু ওজন বাড়তে বাধ্য। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন ছোট প্লেটে খাবার খেতে। এতে কম পরিমাণে খাওয়া হয়। সেই সঙ্গে যতটুকু প্রয়োজন ততটাই খাওয়া হয়। আমাদের চোখের খিদে অনেকটাই বেশি। আর যে কারণে কিন্তু আমাদের সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। আর তাই কী ভাবে খাবেন সেই ভাবনা কিন্তু করতে হবে আপনাকেই। তেল, ঘি, মশলা বেশি ব্যবহার না করেই রান্না করুন। বানিয়ে ফেলুন সাবুদানা টিক্কি। এতে যেমন তেল কম লাগে তেমনই কিন্তু কম সময়ের জন্য বানানো যায়। এতে ক্যালোরি কম থাকে।
সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন বাড়ির খাবার খেতে। একেবারে অল্প তেল-মশলায় পছন্দের খাবার বানিয়ে নিন বাড়িতেই। তেমনই ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলুন। যেদিন ঘি-দুধের তৈরি কোনও খাবার খাবেন সেদিন আর অন্য কোনও কিছু খাবেন না। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ জল খান। সেই সঙ্গে ফলের রস, ডাবের জল এসব খেতেও ভুলবেন না। অন্তত ৩ লিটার জল কিন্তু খেতেই হবে।
উপবাস রাখলে শরীর ক্লান্ত লাগে। দুর্বলও মনে হতে পারে। তবে তার অর্থ এই নয় যে আপনি সারাদিন বিশ্রাম নেবেন। বরং নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করুন। এতে মন ভাল থাকবে। একঘেঁয়েমি আসবে না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত খিদেও পাবে না। তবে উপবাস হোক বা অন্যদিন- সারাদিন কিন্তু শুয়ে বসে কাটাবেন না। এতে শারীরিক সমস্যা বাড়ে, পরিস্থিতি জটিল হয়।