Custard apple: নাশপাতি, আপেলের ঝুড়ি থেকে উঁকি দিচ্ছে ছোটবেলার এই চেনা ফল, উপকার জানলে আপনিও অবাক হবেন!
Sugar Apple: নামেই মিষ্টি অথচ মিষ্টি নামমাত্র। আর তাই সুগারের রোগীরাও খেতে পারেন নির্ভয়ে।
এই ফলটির সঙ্গে ছোটবেলাতেই সকলের পরিচয়। অর্থাৎ খেলার ছলে যে লেখাপড়া শুরু হয় তখনই মুখে মুখে ঘোরে নানা ছড়া। ছোটবেলায় এই ছড়া পড়েননি বা আধো বুলিতে বলেননি এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। ঠিকই ধরেছেন, আতার কথাই বলা হচ্ছে। গ্রাম বাংলায় এখনও বাড়িতে বাড়িতে আতার গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বর্ষার পরই বাজারে আসে ঝাঁকা ঝাঁকা আতা। এই প্রজন্মের অধিকাংশই যদিও আতা চেনে না, আতার স্বাদ জানে না তবুও ফলটির উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন আপনিও। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে যে বীজে ঠাসা। কিন্তু পাতলা শাঁসের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে পুষ্টিগুণ। খেতে মিষ্টি। আর তাইতো তোতা পাখিদেরও এত লোভ এই ফলটির উপর। শহরের বাজারেও কিন্তু রোজ দেখা মিলছে আতার। পেঁপে, আম, নাশপাতি, কলার পাশাপাশি রোজ খান মরশুমের এই ফল।
আতার স্বাদ, গন্ধ এবং আকৃতির জন্য ইংরেজিতে একে বলা হয় Custard Apple. আতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে। এছাড়াও আতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার। আছে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন, নিয়াসিয়ান, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম। প্রতি ১০০ গ্রামে শর্করার পরিমাণ মাত্র ২৫ গ্রাম। যে কারণে সুমিষ্ট এই আতা সুগার রোগীদের জন্যও খুব উপকারী। এছাড়াও আতা আমাদের যে সব উপকারে লাগে-
হজম ক্ষমতা বাড়ায়- আতার মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফাইবার যা হজম করায় এবং সঙ্গে পেটের সমস্যাও দূর করে। রোজ আতা খেলে শরীরে একাধিক সুবিধেও পাওয়া যায়। তেমনই আতা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পায়েসও। বাংলা কাব্য, সাহিত্যে আতৈর পায়েসের একাধিক প্রসঙ্গও রয়েছে।
চোখের জন্য ভাল- আতা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। আতার মধ্যে থাকে রাইবোফ্ল্যাভিন ও ভিটামিন সি। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তাঁরা তাই রোজ একটা করে আতা খেতে পারেন।
ক্যানসার প্রতিরোধী- বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। আগামী কয়েক বঠরে তা যে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আতার মধ্যে থাকা অ্যাসিটোজেনিন যৌগগুলি ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে দেয়।
হাড় মজবুত করে- আতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। যা আমাদের হাড় মজবুত করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালশিয়াম সরবরাহ করতে যথেষ্ঠ সক্ষম হল আদা। সুগার, প্রেসারের রোগীরাও খেতে পারেন নির্ভয়ে। এই মরশুমে রোজ একটা করে আতা খেতে পারলে সবচাইতে ভাল।
আমাশয়ের সমস্যায়- আতা গাছের মূল থেঁতো করে তার রস ছেঁকে নিয়ে তা ৭ থেকে ৮ চামচ দুধের মধ্যে মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। ৩ দিনের মধ্যে আমাশয় সেরে যায়। প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদে এই টোটকা ব্যবহার করা হয়।