ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার অন্যতম কারণ হল আমাদের রোজকারের খাদ্যাভ্যাস। রোজকার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু সবজি থাকে যেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে সেখান থেকে আসে গাউটের সমস্যা। গাঁটের ব্যথা, গাঁট ফুলে যাওয়া এর অন্যতম কারণ।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে মূল সমস্যা হয় পায়ের পাতায়। পা ফেলতে অসুবিধে হয়। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যত্রও ব্যথা থাকে। তবে যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাঁদের প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পিউরিন। যেখান থেকে সমস্যা বাড়ে।
এছাড়াও কিছু সবজির মধ্যে অক্সালেট থাকে বেশি পরিমাণে। যেখান থেকে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই প্রথম থেকে কয়েরটি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পালং শাক। পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ এবং অক্সালেট। যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
টমেটো খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে এমন মিথ রয়েছে। তবে যদি প্রচুর পরিমাণে টমেটো খান সেখান থেকেই বেশি সমস্যা হয়। টমেটের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ থাকলেও অক্সালেট রয়েছে বেশি পরিমাণে। যে কারণে পায়ে ব্যথা বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়ে। তবে টমেটোর বীজ খেতে পারলে সবচাইতে ভাল।
বিটের মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিট কিন্তু একাধিক সমস্যা সারিয়ে দেয়। ওজন কমাতে বেশ ভাল কাজ করে বিট। সাহায্য করে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও। তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে, গাউট রয়েছে তাদের জন্য মোটেও ভাল নয় বিট। আর তাই এড়িয়ে চলাই ভাল।
ঢ্যাঁড়শ সবজি হিসেবে ভাল। উপকারীও। তবে ঢ্যাঁড়শ বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে। ঢ্যাঁড়শের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা এই সব সমস্যা আরও বেশি বাড়িয়ে তোলে।