Granola: কেন গ্রানোলাই সেরা ব্রেকফাস্ট? জেনে নিন…
Healthy Breakfast: ওয়ার্ক আউটের পর স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খুবই জরুরি। কারণ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি আসে এই সব খাবার থেকেই। আর তাই ব্রেকফাস্টে যা কিছু অবশ্যই রাখবেন...
Granola For Breakfast: গত কয়েক বছরে ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়েছে খাদ্যশ্য ও প্রোটিন বারের। ওয়ার্কআউটের পর বেশিরভাগই ওটস, মুজলি কিংবা গ্রানোলা খেতে পছন্দ করছেন। স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে এই তিন ব্রেকফাস্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা গ্রানোলার। গ্রানোলা খেতে যেমন ভাল তেমনই পুষ্টিতে ভরপুর। রোজ সকালে খেলে মেটে পুষ্টির চাহিদাও। তবে গ্রানোলা কিন্তু আজকের খাবার নয়। আমেরিকায় প্রথম গ্রানোলা তৈরি হয় ৬০-এর দশকে। তখন বিভিন্ন শুকনো ফল, শস্যদানা আর বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তা বানানো হত। এখনও গ্রানোলার প্রধান উপকরণ হিসেবে ওটস, গম, কর্নফ্লেক্স, বেকওয়েট ব্যবহার করা হয় ঠিকই সঙ্গে মেশানো হয় খেজুর, অ্যাপ্রিকট, কিশমিশ, বিভিন্ন বাদাম, মধু, বীজ, বেরি, চকোলেট ও স্বাস্থ্যউপযোগী কিছু মশলা। এই গ্রানোলা তৈরি করা হয় বেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে। যে সব ফল মেশানো থাকে সেই সব ফলই বেকড অবস্থায় থাকে। ফলে গ্রানোলা বেশ সুস্বাদু। আর তাই গ্রানোলার ব্রেকফাস্ট হিসেবে এত নামডাক। আর এই গ্রানোলা আপনি নিজেও বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন। তবে বাড়িতে তৈরি গ্রানোলা কিন্তু ৬০ দিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলতে হবে।
গ্রানোলার উপকারিতা
গ্রানোলা দেখতে যেমন ভাল তেমনই এনার্জিতে ভরপুর। দুধ আর পছন্দের ফল মিশিয়ে একবাটি খেতে পারলে দারুণ উপকার পাবেন। সারাদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির বেশিরভাগটাই আসে এই গ্রানোলা থেকে। আর তাই অবশ্যই গ্রানোলা রাখুন রোজকার ব্রেকফাস্টে।
এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। হজম সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা আছে এই গ্রানোলার। এছাড়াও শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই গ্রানোলার।
মাত্রাছাড়া স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন গ্রানোলা রেখে। রোজকার জীবনের অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে গ্রানোলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়ম মেনে খেলে উপকার পাবেন। বিকেলে কাজের ফাঁকে অফিসেও খেতে পারেন এই গ্রানোলা।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে চালিত করতে পারে এমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু রয়েছে এই গ্রানোলার মধ্যে। এছাড়াও হাড়ের ক্ষয়ক্ষতি রুখতেও ভূমিকা রয়েছে এই গ্রানোলার।
গ্রানোলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যা লিভারের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে তোলে। একই ভাবে হাড় শখক্ত রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই গ্রানোলার।
কী ভাবে খাবেন এই গ্রানোলা
টকদই, কলা, আপেল, স্ট্রবেরি এই সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার তাতে বড় তিন থেকে চার চামচ গ্রানোলা মিশিয়ে খান।
আগের দিন রাতে একটা বড় গ্লাস জারে গ্রানোলা, টকদই, চিয়া সিডস, আপেল, আম, কলা দিয়ে লেয়ার বানিয়ে নিন। এরপর তা ফ্রিজে রাখুন ৬-৮ ঘন্টা। পরদিন সকালে খান।
চকোলেট ফ্লেভারের গ্রানোলার সঙ্গে দুধ আর পিনাট বাটার এক চামচ মিশিয়ে খান। এতে খেতে ভাল লাগবে। শরীর পুষ্টিও পাবে।