AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kojagari Laxmi Puja 2022: কেন লক্ষ্মীপুজোর ভোগে খিচুড়ি আবশ্যক, জানেন? সঙ্গে রইল রেসিপি

Sharad Purnima 2022: লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল প্রসাদ। নাড়ু, মোয়া, মুড়কি, লুচি, সুজি, খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনভাজা- এই প্রতি প্রসাদের মধ্যে আলাদা একটা স্বাদ থাকে। যে স্বাদের কোনও ভাগ হয় না

Kojagari Laxmi Puja 2022: কেন লক্ষ্মীপুজোর ভোগে খিচুড়ি আবশ্যক, জানেন? সঙ্গে রইল রেসিপি
ভোগের খিচুড়ি যে ভাবে বানাবেন
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 2:03 PM
Share

পঞ্জিকা মতে শনিবার রাত ৩.৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি। থাকবে রবিবার রাত ২ টো ৩০ পর্যন্ত। যেহেতু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো তাই অধিকাংশ বাড়িতে রবিবার সন্ধেতেই পুজো হবে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ, ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। আর লক্ষ্মী হলেন নারায়ণের স্ত্রী। যেখানে লক্ষ্মী আছেন সেখানে নারায়ণও থাকেন। আর তাই আজ লক্ষ্মীর আরাধনা করলেও সঙ্গে নারায়ণের পুজো করাও নিয়ম। সুন্দরের প্রতীক হলেন লক্ষ্মী। আর তাই যে কোনও সৃজনশীল কাদেই তাঁর বাস। সুন্দর করে ঘর গুছিয়ে রাখা থেকে, আলপনা দেওয়া, সুন্দর রান্না করা, সুন্দর হাতের লেখা, কাজ… সব কিছুর মধ্যেই থাকে লক্ষ্মীর ছোঁয়া। ধান, কড়ি, সুপুরি, পান- এই সবই কিছুই হল লক্ষ্মীর প্রতীক।

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রচলন নিয়ে একাধিক গল্প-কাহিনির প্রচলন রয়েছে। শাস্ত্রে মহালক্ষ্মীকে আদিশক্তি ভগবতী রূপেই পুজো করা হয়েছে। তাঁর কৃপায় ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্যের অধিকারী হন মানুষ। মমতা, দয়ার সাগর বলা হয় মহালক্ষ্মীকে। আর তাই ভক্তিভরে তাঁর পুজো করতে পারলে একাধিক ফলও পাওয়া যায়।

লক্ষ্মী ও অলক্ষ্মী দুই বোন। যে বাড়িতে শুদ্ধতা, পরিছন্নতা, শান্ত নম্নভাব থাকে, সেখানে লক্ষ্মীর বাস আর যেখানে অশুদ্ধতা ,অপরিষ্কার ভাব, কলহ-বিবাদ উগ্র মেজাজ, হিংসা থাকে সেখানে থাকে অলক্ষ্মীর বাস। মা লক্ষ্মীর কৃপায় শুধু অর্থলাভ নয়, সন্তান লাভ, স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক নির্ভর করে। চার হাতের মা লক্ষীকে বলা হয় মাতা বৈভব লক্ষ্মী, শুক্রবার যার পূজার দিন। মা মহালক্ষ্মী কে দেখা যায় কর্দম থেকে উত্থিত হয়ে পদ্মের উপরে বসে আছেন, যা আধ্যাত্মিক পবিত্রতা ও শক্তির প্রতীক।

লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল প্রসাদ। নাড়ু, মোয়া, মুড়কি, লুচি, সুজি, খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনভাজা- এই প্রতি প্রসাদের মধ্যে আলাদা একটা স্বাদ থাকে। যে স্বাদের কোনও ভাগ হয় না। সারা বছর প্রসাদী খিচুড়ি, পায়েস যতই খাওয়া হোক না কেন লক্ষ্মীপুজোর দিন তার স্বাদই থাকে অন্যরকম। ফলপ্রসাদ, লুচি, সুজি যাই থাক না কেন কোজাগরীর পুজোয় খিচুড়ি ভোগে দেওয়া হল রীতি। তবে কেন এই নিয়ম তা জানেন কি?

দশেরা অর্থাৎ দশমীর দিন রাবণকে বধ করে সীতাকে নিয়ে রাম অযোধ্যায় প্রবেশ করেন দীপাবলির দিন। সেদিন অযোধ্যা জুড়ে সীতার চরিত্র নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জনও। লক্ষ্মীপুজোর দিন সীতা যখন তাঁর সখীদের কাছে রাবণের ছবি এংকে তার সম্বন্ধে কথা বলছিলেন তখন রামচন্দ্র সেই ঘরে প্রবেশ করেন। প্রজাদের মনের সন্দেহ দূর করতে তিনি এক পাকে তৈরি খিচুড়ি খাইয়ে সীতাকে মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রমে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকেই লক্ষ্মীপুজোর ভোগে খিচুড়ি প্রসাদ আবশ্যিক করা হয়। একপাকে তৈরি খিচুড়ি আর পায়েস এদিন ভোগে থাকলে পরিবারের কল্যাণ হয়।

কী ভাবে বানাবেন এই একপাকে খিচুড়ি 

যা কিছু লাগছে

গোবিন্দভোগ চাল সোনামুগের ডাল ফুলকপি মিষ্টিআলু মটরশুঁটি আদা বাটা হলুদ-জিরে-লঙ্কাগুঁড়ো গোটা শুকনো লঙ্কা গরমমশলা গুঁড়ো পাঁচফোড়ন নুন-মিষ্টি ঘি

যে ভাবে বানাবেন

শুকনো খোলায় সোনা মুগডাল ভেজে নিন। চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। আলু, ফুলকপি এসব ডুমো ডুমো করে কেটে নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। হাঁড়িতে ঘি আর সাদা তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা আর আদা দিয়ে নেড়ে নিয়ে চাল ডাল দিয়ে কষিয়ে নিন। এরপর হলুদ, জিরে আর লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষতে থাকুন। পরিমাণ মতো গরম জল, সবজি দিয়ে হাঁড়ির মুখ চাপা দিন। ডাল, ডাল সিদ্ধ হয়ে নরম হলে নামানোর আগে ঘি. গরম মশলা, কাজু-কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।