Sea Food And Weight Gain: লাউ দিয়ে বা মালাইকারিতে আঙুল চেটে তো খান, চিংড়ি খাওয়ার সময় ক্যালোরির হিসেব করেন কি?

Shrimp: চিংড়ির মধ্যে যেমন একাধিক ভাল উপাদান থাকে তেমনই কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিও থাকে। আর যে কারণে চিংড়ি এড়িয়ে চলতে বলেন ডায়াটেশিয়ানরা

Sea Food And Weight Gain: লাউ দিয়ে বা মালাইকারিতে আঙুল চেটে তো খান, চিংড়ি খাওয়ার সময় ক্যালোরির হিসেব করেন কি?
যে কারণে চিংড়ি খেলে ওজন বাড়ে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2022 | 10:27 AM

গরম ভাতে কচুশাক চিংড়ি হোক বা মালাইকারি খেতে তো বেশ লাগে, কিন্তু এই পাত চেটেপুটে খাওয়ার পর শরীরে কতখানি ক্যালোরি গেল তার হিসেব রাখেন কি? সামুদ্রিক মাছের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। থাকে ক্যালশিয়াম, ওমেগা-৩, ভিটামিন, আয়রন এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর তাই কম পরিমাণে খেলেই পেট ভরে যায়। যে কারণে যাঁরা ডায়েট করছেন বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের চিংড়ি খেতে মানা করা হয়। বিশেষত বড় চিংড়ি। এই চিংড়ির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ সব চাইতে বেশি থাকে। চিংড়ির খোসায় থাকে অ্যাটাক্সানথিন, যা খেতে ভাল। কিন্তু এই পদার্থটিই চিংড়ির মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তবে চিংড়ি কিন্তু ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস। এই ভিটামিন ডি ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে। ফলে রক্তে এই দুটি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।

কেন চিংড়ি ওজন বাড়ায়

চিংড়ি মাছের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে চিনি ওবং চর্বি কিন্তু থাকে না। এছাড়াও থাকে ভিটামিন বি ১২। সেই সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে চিংড়ি। ত্বক আর চুলও ভাল রাখে। চিংড়ি খেলে তখনই ওজন কমে যদি তা স্টিম বা সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। আদা-পেঁয়াজ-রসুন মশলা দিয়ে চিংড়ি রান্না করলেই ওজন বাড়ে। দিনে ১০০ গ্রামের বেশি চিংড়ি একেবারেই খাবেন না। আলু, লেবু আর ভুট্টা বাদ দিয়ে চিংড়ি রান্না করুন। চিংড়ির সঙ্গে এই উপাদানগুলো মিশলে তাতে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায় আরও খানিকটা। যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু একেবারেই চিংড়ি খাওয়া ঠিক নয়। তাই ডায়েটে চিংড়ি রাখলে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

চিংড়ি মাছের উপকারিতা 

হার্টের রোগীদের জন্য- শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় চিংড়ি। চিংড়ির মধ্যে থাকে এমন কিছু উপাদান যা ক্ষতিকারক হোমোসিস্টাইন অনুগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও রাখে নিয়ন্ত্রণে।

ক্যানসার প্রতিরোধে- চিংড়ির মধ্যে থাকে সেলেনিয়াম। যা ক্যানসার কোষ গঠনে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে থাকে গ্লুটাথিয়ন পারক্সিডেজ- যা র মধ্যে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই উপাদান বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক করে এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উপকারী- ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিংড়ির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা অ্যালঝাইমার্স থেকে ডিমনেশিয়া সব রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও মন ভাল রাখার বিশেষ উপাদান রয়েছে চিংড়ির মধ্যে। তাই ডিপ্রেশনে থাকলে খেতেই পারেন।