Cannes-Gourab: বাংলার ধুতি-পাঞ্জাবি কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে

Cannes-Gourab: ২০১১ সালে পাওলি দাম রেড কার্পেটে হেঁটেছিলেন বাংলার জামদানি শাড়ি পরে। তাঁর বহু চচ্চিত ছবি ‘ছত্রাক’-এর জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। এই বছরও পাওলির ‘ছাদ’ দেখানো হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে।

Cannes-Gourab: বাংলার ধুতি-পাঞ্জাবি কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে
বাঙালি পরিচালক গৌবর মল্লিক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2022 | 5:49 PM

বাংলার ধুতি-পাঞ্জাবী এবার স্থান পেল ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। কার হাত ধরে? একজন স্বতন্ত্র বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালকের হাত ধরে। নাম গৌরব কুমার মল্লিক (Gourab Mullick)। পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ছাত্র গৌরব। তিনি রেড কার্পেটে শান্তিপুরী ধুতি আর বাঙালি জামা স্টাইলের পাঞ্জাবি পরে হাঁটলেন। এর আগে ২০১১ সালে পাওলি দাম রেড কার্পেটে হেঁটেছিলেন বাংলার জামদানি শাড়ি পরে। তাঁর বহু চচ্চিত ছবি ‘ছত্রাক’-এর জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। এই বছরও পাওলির ‘ছাদ’ দেখানো হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তবে তিনি যাননি উৎসবে। অন্যদিকে গৌরব এই বছর আমন্ত্রিত হয়েছেন তাঁর আসন্ন হিন্দি ছবি ‘স্টারফ্রুট’-এর জন্য।

ব্যারাকপুরের ছেলে গৌরব। কান চলচ্চিত্র উৎসবে সারা বিশ্বের ১০ জন পরিচালক যাঁরা নতুন ছবি করছেন, তাঁদের ছবি আমন্ত্রিত হয়েছে, গৌরবের ছবিও সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে। ১৯৯০ সালের বোমা বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে গৌরবের ‘স্টারফ্রুট’ ছবি। এই বিষয়ের উপর ত্রিকোণ প্রেমের ছবি এটি। গৌরবের থেকে জানা গিয়েছে, লা ফ্যাব্রিক সিনেমা ডু মন্ডে বিভাগে কেবলমাত্র এমন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয় যেগুলি এখনও কোথাও দেখানো হয়নি। ছবির শুটিং আগামী বছর শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন পরিচালকের।

গৌরব যখন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন যে কানের রেড কার্পেট ড্রেস কোড সম্পর্কে খুব সচেতন। তাই তিনি ঠিক করেছিলেন এমন পোশাক চয়ন করবেন, যা তাঁর নিজস্ব ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। সেই মতই তিনি বেছেছিলেন পোশাক। “আমি একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং হৃদয়ে একজন বাঙালি। তাই, আমি এমন কিছু পরতে চেয়েছিলাম যা আমার সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করবে এবং স্থানীয় তাঁতি ও ডিজাইনারদের সাহায্য করবে। তাই, আমি আমার বন্ধু এবং স্টাইলিস্ট পুষ্পক সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যিনি আমার লুক ঠিক করেন। মূল ধারণাটি ছিল একটি সুন্দর লুক তৈরি করা যা বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে”, এমনটাই বলেছেন গৌরব।

হাতে বোনা তুলো দিয়ে তৈরি এই স্টাইলটি রবিঠাকুরের বিখ্যাত নাটক ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং বাংলার আইকনিক রাণী ভবশঙ্করী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে করা। প্রকৃতির মাঝে রাণীর শিকারের দৃশ্য, তাঁর সহকর্মী এবং যোদ্ধাদেরও দেখা যায়। ডিজাইনার মানুষের মূর্তি তৈরি করতে হ্যান্ড পেইন্টিং, হ্যান্ড-টিন্টিং, অ্যাপ্লিক, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি এবং জারদোজির বহুমাত্রিক কৌশলও ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ধুতিটি পেরুভিয়ান মোটিফের সাথে কিছুটা মোটা এবং স্বাভাবিকের মতো স্বচ্ছ নয়। “মানুষ সত্যিই এইরকম পোশাক দেখে উত্তেজিত ছিলেন। রেড কার্পেটের পরে, সেখানকার মানুষ পোশাকের ছবি তুলতে আমার কাছে এসেছিলেন। স্পষ্টতই, তাঁরা এর আগে এরকম কিছু দেখেনি,” গৌরব খুব গর্বের সঙ্গে জানালেন।