PCOD-Hair fall: পিসিওডিতে অঝোরে চুল পড়ে, কোন টোটকা মানলে কমবে এই সমস্যা?

Prevent Hair Fall in PCOD: পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এর জেরে দেহে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। পাশাপাশি চুল অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায়।

PCOD-Hair fall: পিসিওডিতে অঝোরে চুল পড়ে, কোন টোটকা মানলে কমবে এই সমস্যা?
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2024 | 3:05 PM

অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে মহিলাদের মধ্যে পিসিওডি-এর সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এর জেরে দেহে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। পাশাপাশি চুল অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায়। পিসিওডিতে চুল পড়া শুরু হলে তেল, শ্যাম্পু দিয়ে এই সমস্যাকে আটকানো যায় না। পিসিওডি-এর কারণে চুল পড়াকে বন্ধ করতে হলে ডায়েট ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।

১) আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল, দেহে পুষ্টির ঘাটতি। আয়রন, বায়োটিনের মতো পুষ্টির ঘাটতি হলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। আর পিসিওডিতে অনেক মহিলার দেহেই আয়রনের মাত্রা কমে যায়। তাই চুল পড়াকে প্রতিরোধ করার জন্য ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ওটস, ডাল, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে পারেন।

২) গ্লুটেন বাদ দিন: ওজন কমাতে অনেকেই গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবারকে ডায়েট থেকে বাদ দিচ্ছেন। পিসিওডিতেও এই ধরনের খাবারের থেকে দূরে থাকা উচিত। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পিছনে দায়ী হতে পারে গ্লুটেন। সঙ্গে বাড়াতে পারে ওজনও। পাস্তা, ব্রেড, পেস্ট্রি, সিরিয়াল, বিয়ারের মতো খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।

৩) মানসিক চাপ কমান: চুল পড়ার পিছনে মানসিক চাপ দায়ী। মানসিক চাপ বাড়লে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। তখন চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। মানসিক চাপ কমাতে যোগাসন করুন। মানসিক চাপ কমলে পিসিওডি-এর সঙ্গে লড়াই করাও সহজ হবে।

৪) শরীরচর্চা জরুরি: নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এতে চুলের গোড়াতেও পুষ্টি পৌঁছায়। এতে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। পাশাপাশি চুল পড়া কমে যায়। তাছাড়া শরীরচর্চা করলে পিসিওডি-এর উপসর্গও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৫) চুলের দেখভাল করুন: দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করুন। ভাল করে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করুন। পাশাপাশি চুলে ঘন ঘন স্টাইলিং করা এড়িয়ে চলুন। এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না, যা চুলের ক্ষতি করতে পারে। একইভাবে, চুলে বেশি তাপ প্রয়োগ করবেন না। এতে চুলের বারোটা বাজবে।