Darjeeling: বরফের খোঁজে রাজ্যের বাইরে নয়, ঘুরে আসুন বাড়ির পাশের এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে
Offbeat Destinations in Darjeeling: দার্জিলিংয়ে যেভাবে পর্যটকদের ঢল নেমেছে তাতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে অফবিট ডেস্টিনেশনে। আর এই সবজায়গা থেকেও খুব পরিষ্কার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা
নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে কলকাতায় এবার বেশ জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়েছে। দুটো সোয়েটার পরেও কাঁপুনি যাচ্ছে না। তবে শীত সকলে বেশ উপভোগ করছেন। ভিড় বেড়েছে মাঠে-ময়দানে। এছাড়াও অনেকে কাজ শেষের পর শীত উপভোগ করতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন ঘুরতে। উত্তরভারত জুড়ে চলছে শৈত্য প্রবাহ। ঝঞ্ঝার দাপটে মাঝেমধ্যেই কমছে তাপমাত্রা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত বরফ পড়েনি দার্জিলিংয়ে। তবে শীতের দাপট রয়েইছে। বছরের শেষ থেকেই পাহাড়ে নেমেছে পর্যটকের ঢল। প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন পাহাড়ে। তবে গত কয়েকদিন রোদের দেখা তেমন ছিল না। সেই সঙ্গে দেখা যায়নি কাঞ্চনজঙ্ঘাও। অবশেষে শিকে ছিঁড়েছে পর্যটকদের। সোমবার ঝকঝকে আকাশে দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন দার্জিলিং এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু দার্জিলিং, ঘুম কিংবা ম্যাল নয় কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ের ভিউ পয়েন্ট থেকেও দেখা মিলেছে বরফ ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার। এদিন শিলিগুড়ি থেকেও দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।
দার্জিলিংয়ে যেভাবে পর্যটকদের ঢল নেমেছে তাতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে অফবিট ডেস্টিনেশনে। আর এই সবজায়গা থেকেও খুব পরিষ্কার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেই সঙ্গে উপরি পাওনা হল প্রকৃতি। পাহাড়ি এই সব গ্রামে কোনও কোলাহল নেই, সকালে ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে। বিছানায় বসেই দেখা পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। এমনকী ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন হয় তাহলে দেখা পাওয়া যাবে বরফেরও। দার্জিলিং এর আশপাশে অনেক গ্রাম আছে। কার্সিয়াং এর দিক থেকে উঠলে সুখিয়াপোখরি, জোরপোখরি, লেপচাজগৎ, সুখিয়া, পোখরিয়াবং, তাবং, তাবাকোশি, রামপুরিয়া, দাওয়াইপানি সহ একাধিক গ্রাম।
এই সব গ্রামে লোকসংখ্যা খুবই কম। একেবারে গ্রাম্য বস্তি পরিবেশে অবস্থিত হোম স্টেগুলি। চারবেলা একেবারে অরগ্যানিক খাওয়া, ঝরনার জল আর আর মুক্ত পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে দিতে চাইলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন এই গ্রামগুলি থেকে। ভোরে ঘুম ভাঙলেই জানালা থেকে দেখা মেলে তুষরাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার। ঠাণ্ডার অনুভূতি যেমন পাবেন তেমনই দেখা মিলতে পারে বরফেরও। নেপালি, লেপচাদের প্রতিনিয়ত কঠিন জীবনসংগ্রাম, তাদের জীবনের ছোট ছোট আনন্দ, লোকগীতি, ঝলসানো মাংস আর আগুনের তাপে নিজের মন প্রাণ সেঁকে নিতে চাইলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন এই সব গ্রাম থেকে। নিজের মতো হেঁটে বেড়ান, ইচ্ছে আর শরীর যদি সায় দেয় তাহলে পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে ছোট্ট ট্রেকও করে আসতে পারেন। এনজেপি কিংবা বাসে শিলিগুড়ি জংশন নামলেই সহজে পৌঁচ্ছে যেতে পারবেন এই সব গন্তব্যে।