Uttarakhand: দেবভূমিতে রয়েছে ভূতেদের বাস! সাহস থাকলে একবার ঢুঁ মেরে আসুন

এই রাজ্যের প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে রয়েছে পুরাণ কাহিনি। এর পাশাপাশি এমন অনেক জায়গা রয়েছে যার গল্প একটু অন্য রকম। সেই জায়গাগুলি 'ভুতুড়ে স্থান' নামে জনপ্রিয়।

Uttarakhand: দেবভূমিতে রয়েছে ভূতেদের বাস! সাহস থাকলে একবার ঢুঁ মেরে আসুন
পরী টিব্বা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 1:05 PM

উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সৌন্দর্য অনন্য। এই রাজ্যের প্রতিটি শহর, গ্রাম নিজের মত করে সুন্দর। আর এই কারণে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন শিল্পও (Tourism) বেশ উন্নত। এই কথা অনেকেই জানেন যে, উত্তরাখণ্ডকে দেবভূমি (Devbhoomi) বলা হয়। এই রাজ্যের প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে রয়েছে পুরাণ কাহিনি। এর পাশাপাশি এমন অনেক জায়গা রয়েছে যার গল্প একটু অন্য রকম। সেই জায়গাগুলি ‘ভুতুড়ে স্থান’ (Haunted Place) নামে জনপ্রিয়। আজকে আমরা সেই স্থানের গল্পই জানাব আপনাদের।

লামবি দেহর মাইনস- মুসৌরির কাছে অবস্থিত ছোট্ট হিল স্টেশন লামবি দেহর মাইন। এখানে আগে খননকার্য‌ হত। কিন্তু এখন এই পাহাড়ি গ্রাম জনশূন্য। ১৯৯০-এর দশকে এখানে কর্মরত শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ হতে শুরু করেন। প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কোনও এক অজানা রোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুও হয় তাঁদের। এরপর থেকে এখানে খননের কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রামবাসীরাও এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকেই এই হিল স্টেশনটি ‘ভুতুড়ে স্থান’ নামে জনপ্রিয় হতে থাকে। সকালে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। থাকার ব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগ পর্যটকরা আসেন ছবি তুলতে। এছাড়াও এখানে আপনি ট্রেক করতে পারবেন।

মুলিনগর ম্যানশন- উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি হল অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের বাসস্থান। এক সময়ে এখানে ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক। ১৮২৫ সালে এখানে প্রথম যে ব্রিটিশ বাড়িটি তৈরি হয়েছিল তা হল মুলিনগর ম্যানশন। কিন্তু এই বাড়ির মালিকের কী হল এবং কীভাবে এই বাড়িটি ‘ভুতুড়’-এর তকমা পেল, তা জানা যায়নি। তবে, গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে একটি কাহিনি। তাঁদের মতে এই বাড়ির প্রথম মালিক ক্যাপ্টেন ইয়ং-এর ভূত এখনও এখানে ঘুরে বেড়ায়। তবে, স্থান হিসাবে জায়গাটি খুব শান্ত ও নিরিবিলি। এখন জায়গাটি পরিণত হয়েছে পিকনিক স্পটে।

Lambi Dehar Mines

লামবি দেহর মাইনস

পরী টিব্বা- পরী টিব্বা বা পরীদের পাহাড় হল ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি জায়গা। আপনি যদি রাস্কিন বন্ডের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই এই জায়গাটির নাম পড়েছেন। এটিও রাস্কিন বন্ডের হোম টাউন মুসৌরির কাছে অবস্থিত। এখানের ভৌতিক কাহিনি একটু অন্যরকম। এই জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয়। এই বজ্রপাতের কারণে জঙ্গলের বহু গাছ আগুনে পুড়ে গেছে। এই সব অর্ধ পোড়া গাছ দেখে স্থানীয় মানুষের মনে নানা ভয় তৈরি হয়েছে। আবার অনেকে নাকি দাবি করে যে, এখানে পরী ঘুরে বেড়ায়। তবে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই অরণ্য।

হনটেড হাউস, লোহাঘাট- চম্পাবত জেলার ছোট্ট হিল স্টেশন লোহাঘাট। পাইন বনে ঘেরা এই অঞ্চলে রয়েছে একটি বাড়ি। আর এই বাড়িটি নাকি উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে স্থানগুলির মধ্যে একটি। এক সময় এখানে এক দম্পতি বাস করতেন। তারপর বাড়িটি পরিণত হয় হাসপাতালে। সেই হাসপাতালে এক সময় এক চিকিৎসক আসেন, যিনি মৃত্যু সম্পর্কে মানুষজনকে বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। তিনি বলতেন কার কখন মৃত্যু রয়েছে এবং এর জন্য একটি বিশেষ কক্ষ রয়েছে। এখান থেকে স্থানীয়রা মনে করতে শুরু করে যে, ওই বিশেষ কক্ষে রোগীদের নিয়ে গেলে ওই চিকিৎসক নিজেই মেরে ফেলতেন। সেই থেকে এই স্থানকে ভুতুড়ে বলা হয়।

আরও পড়ুন: পাহাড়ের রানি হলেও জনপ্রিয়তা বেড়েছে মুসৌরির আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা এই অফবিটগুলির