Durga Puja 2021: এবার পুজোয় চলুন দুর্গার বাহনের আপন দেশে
মালাউই তামাক, চা, কফি আর চিনির জন্য বিশ্বখ্যাত। ৬ জুলাই মালাউই প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় খুলল পূর্ব ভারতে মালাউইয়ের প্রথম দূতাবাস।
নন্দন পাল: এবার দেবীর বোধন উদযাপন করুন তাঁর বাহনের আপন দেশে। আফ্রিকা। নামটা শুনলেই একটা আলাদা সম্ভ্রম জাগে। সেই আফ্রিকার অন্দরমহলই এ বার ডাকছে বঙ্গবাসীকে। আফ্রিকার দক্ষিণ পূর্বে ছোট্ট দেশ মালাউই। সিংহ, চিতা, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, কুমির, জলহস্তী আর আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম মিঠে জলের হ্রদ, নয়নাভিরাম লেক মালাউই। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে এই মালাউই লেকের জন্যই দেশটার জগৎ জোড়া খ্যাতি বিশ্বের ভ্রমণ মানচিত্রে। লেক মালাউই-এর বিচে আছে অসংখ্য ওয়াটার স্পোর্টস আর নিরিবিলিতে সময় কাটানোর উপযোগী রিসর্ট। জলের তলার জীব জগতে যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি।
করোনা আবহে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল টুরিজম কাউন্সিলের ‘সেফ ট্রাভেল ডেসটিনেশনের স্ট্যাম্প’ ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে এই দেশটি। মাত্র ১১৮,০০০ বর্গ কিলোমিটারের মালাউই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। উত্তর মালাউইয়ের জন সংখ্যা খুবই কম। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজধানী মুজুজু। পাহাড় আর মালাউই লেক ঘেরা এই অঞ্চল। ভিফিয়ার পাহাড় আর নাইকার লেক তীরবর্তী অঞ্চলে পর্যটকদের ভিড় জমে। লেক মালাউইয়ের সেরা বিচ চিনতিচে উত্তর মালাউইয়ের গর্ব। নাইকা ন্যাশানাল পার্ক ভোয়াজা মার্স ওয়াইল্ড লাইফ রিজার্ভ এই অঞ্চলের আকর্ষণ।
সেন্ট্রাল মালাউইয়ে দেশের রাজধানী লিওংগোয়ে। মালাউই যেতে এবং ফিরতে হলে এখান থেকেই আগমন ও প্রস্থান করতে হবে। একটি ন্যাশানাল পার্ক, একটি ওয়াইল্ড লাইফ রিজার্ভ আছে সেন্ট্রাল মালাউইয়ে। মালাউইয়ের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দক্ষিণ মালাউই অঞ্চল। জোম্বা, দেশের পুরানো রাজধানী এবং ব্লান্টায়ার দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী। এই অঞ্চলে ৫টি ন্যাশানাল পার্ক আর ওয়াইল্ড লাইফ রিজার্ভ রয়েছে। লেক মালাউই ন্যাশানাল পার্ক, জোম্বা মালভূমি, মাউন্ট মুলাঞ্জে আর মানাগোচি লেকসোর এই অঞ্চলের আকর্ষণ।
মালাউই তামাক, চা, কফি আর চিনির জন্য বিশ্বখ্যাত। ৬ জুলাই মালাউই প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় খুলল পূর্ব ভারতে মালাউইয়ের প্রথম দূতাবাস। প্রখ্যাত ব্যবসায়ী বিনোদ দুগার হলেন কলকাতা দূতাবাসের প্রথম কনসাল। পার্ক হোটেলে বিনোদ দুগার উদ্বোধন করেন মালাউই ‘ওয়ার্ম হার্ট অফ আফ্রিকা’। দিল্লির মালাউই হাই কমিশনের প্রধান, হিজ এক্সসেলেন্সি জর্জ এমকোন্ডিয়া বলেন, “আমরা মালাউইকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে পরিচিত করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার ব্যাপারেও আশাবাদী।”