Umiam Lake: মেঘালয়ের এই হ্রদ প্রকৃতির দান নয়, তবু কীসের টানে পর্যটকদের ভিড় বড়াপানিতে?
Meghalaya Tourism: অনেকেই গুয়াহাটি থেকে শিলং বেড়াতে যান। এই রাস্তাতেই পড়ে উমিয়াম হ্রদ। শিলং থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। ছবির মতো সুন্দর হ্রদ। কিন্তু এই হ্রদ প্রকৃতির দান নয়। এই হ্রদ তৈরি করেছিল অসমের বিদ্যুৎ পর্ষদ।
মেঘালয় বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় বর্ষাকাল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এই রাজ্যে। শিলং, চেরাপুঞ্জি, মৌসিনরাম, লিভিং রুট ব্রিজ, সেভেন সিস্টার জলপ্রপাতের মতো বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে মেঘালয়ে। বছরখানেক যাবৎ মেঘালয়ের দাউকি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। পাহাড়ে ঘেরা হ্রদের কাচের মতো স্বচ্ছ ও পরিষ্কার জলের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী দাউকিকে এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হ্রদের তকমাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় উমিয়াম হ্রদ। মেঘালয়ের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই উমিয়াম।
অনেকেই গুয়াহাটি থেকে শিলং বেড়াতে যান। এই রাস্তাতেই পড়ে উমিয়াম হ্রদ। শিলং থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। ছবির মতো সুন্দর হ্রদ। কিন্তু এই হ্রদ প্রকৃতির দান নয়। এই হ্রদ তৈরি করেছিল অসমের বিদ্যুৎ পর্ষদ। পূর্ণরাজ্য হয়ে ওঠার প্রায় সাত বছর আগে, ১৯৬৫ সালে মেঘালয়ের পাহাড়ি নদী উমিয়ামের বুকে বাঁধ বসিয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। এটি ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যত দিন বেড়েছে, এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র। বলা চলে, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে।
খাসি ভাষায় ‘উমিয়াম’ শব্দের অর্থ চোখের জলে তৈরি হ্রদ। সে রাজ্যের বাসিন্দারা বলেন, অসম থেকে মেঘালয়ে আসার পথে হারিয়ে যাওয়া এক বোনের জন্য অন্য বোনের কান্নার জলে এই হ্রদ তৈরি করা হয়। তবে, এখন এই উমিয়াম হ্রদ হয়ে উঠেছে সেলফি জ়োন। আর স্থানীয়দের ভাষায় এটি এখন ‘বড়াপানি’।
জলাশয়কে কেন্দ্র করে আশেপাশে রিসর্ট, হোটেলও গড়ে উঠেছে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে উমিয়ামে এখন পর্যটকদের যাতায়াত লেগেই থাকে। এই বড়াপানির আয়তন প্রায় ২২০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু বছরের বিভিন্ন সময় এই হ্রদের রং বদলাতে দেখা যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে হ্রদের জল দেখায় নীল। আর বৃষ্টি হলেই জল ঘোলাটে হয়ে যায়। তবে, বছরের বেশিরভাগ সময় এটি নীলচে সবুজই থাকে। আর হ্রদের চারপাশে থাকা পাইনের বন এর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ উমিয়াম। যদিও এখানেই থেমে নেই উমিয়ামের গুরুত্ব। প্রতিবছর মেঘালয়ে কায়াকি উৎসব আয়োজিত হয় এই হ্রদে। রাইসিং সান ফেস্টিভ্যাল বলা হয় এই উৎসবকে। এছাড়া আপনি সারাবছরই উমিয়াম হ্রদ কায়াকি করতে পারবেন। এই ওয়াটার স্পোর্টস ছাড়াও উমিয়াম হ্রদে ওয়াটার সাইকেলিং, স্কুটিং ও বোটিংয়ের সুবিধা রয়েছে।