Tajpur: ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ নিতে গন্তব্য হোক শান্ত সমুদ্র সৈকত! গরমেও স্বস্তি দেবে বাংলার তাজপুর

Weekend Trip: শহরের কোলাহল আর এপ্রিলের গরম থেকে দু' দিনের ছুটি কাটানোর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন তাজপুর।

Tajpur: 'স্বাধীনতার স্বাদ' নিতে গন্তব্য হোক শান্ত সমুদ্র সৈকত! গরমেও স্বস্তি দেবে বাংলার তাজপুর
শহরের কোলাহল আর এপ্রিলের গরম থেকে দু' দিনের ছুটি কাটানোর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন তাজপুরImage Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 8:38 AM

এত দিন ধরে যে করোনাবিধি বহাল ছিল দেশ জুড়ে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে তা আর থাকছে না। অর্থাৎ থাকছে না আর কোনও নৈশ কার্ফু, কন্টেনমেন্ট জোন। করোনাবিধির ইতি। তাই ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ ফিরে পেতে একটা ছোট্ট গেট-টু-গেদার করলে কেমন হয়? ভাবছেন মার্চেই এত গরম পড়ে গেছে, তাহলে এপ্রিলে কীভাবে বাড়ির বাইরে পা রাখবেন। কিন্তু আপনি বিচ লাভার হন আর অফিস থেকে দু’ দিনের ছুটি (Weekend Trip) ম্যানেজ করে নিতে পারেন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন তাজপুর (Tajpur)। যেহেতু সমুদ্র সৈকত (Sea Beach) তাই এপ্রিলের গরমেও আপনি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন।

শান্ত সমুদ্র সৈকত তাজপুর। একদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি আর অন্যদিকে ঝাউ-ইউক্যালিপটাসের শব্দমালা। আর তার মাঝে শুকনো উতল হাওয়া। চারিদিক সোনালি বালুকাময়। গোটা সমুদ্র সৈকত জুড়ে উঁচু উঁচু বালিয়াড়ি। এটাই তাজপুর। মন্দারমণি ও শঙ্করপুরের মাঝখানে অবস্থিত এই নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত। শহরের কোলাহল আর এপ্রিলের গরম থেকে দু’ দিনের ছুটি কাটানোর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন তাজপুর।

সমুদ্র সৈকতের ডেস্টিনেশন হলেই বাঙালি আগেই দিঘাকে বেছে নেয়। তারপর এখন একটু নিরিবিলি জায়গা খুঁজতে মন্দারমণিও রয়েছে তালিকায়। কিন্তু এই তাজপুর বাংলার অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের চেয়ে একদম আলাদা। এখানে নেই কোনও কোলাহল। নেই মন্দারমণির মত কৃত্রিম সাজসজ্জা। রয়েছে শুধুই নির্জনতা আর শান্ত বালিয়ারি। সমুদ্রের চড়ায় বসে নীল দিগন্ত আর জলরাশই দেখেই সময় কেটে যাবে এখানে। চাইলে হারিয়েও যেতে পারেন ঝাউবনের মধ্যে।

গরমকালে পথে কষ্ট হলেও ডেস্টিনেশনে পৌঁছে আপনি সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যাবেন। পথে পড়বে জলাভূমি, মাছের ভেড়ি আর সবুজ ধানখেত। কলকাতা থেকে তাজপুরের দূরত্ব ১৮৭ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। আর ট্রেনে এলে নামতে হবে রামনগর স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। রামনগর থেকে গাড়ি করে তাজপুর পৌঁছাতে সময় লাগে মিনিট চল্লিশ। যদি গরম এড়াতে চান, তাহলে বিকালে যাত্রা শুরু করতে পারেন। রাতের মধ্যে পৌঁছে যাবেন তাজপুর।

কোথায় থাকবেন ভাবছেন? ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার হোটেলও পেয়ে যাবে তাজপুরে। এর পাশাপাশি রয়েছে সি-ফুড খাওয়ার সুযোগ। এখানে এলে যে জিনিসটা একেবারেই মিস করা চলবে না তা হল কাঁকড়া। আপনি যদি ভোজনরসিক হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। তাছাড়া তাজপুর লাল কাঁকড়ার দেশ। সমুদ্র সৈকতে বের হলেই চোখে পড়বে সারি সারি লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। এখনও যদি ভেবে না থাকেন, তাহলে চটপট ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন।  তাজপুরের শান্ত সমুদ্র সৈকত, নীল জলরাশি, ঝাউবন রয়েছে আপনার অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ছুটি কাটাতে যাবেন? ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’কে রাখুন প্রথমে