Mahishadal Rajbari: জমিদার বাড়ির রথযাত্রা দেখতে পৌঁছে যান মহিষাদল, রাজবাড়িতে মাত্র ২,০০০ টাকায় রাত্রিযাপনের সুযোগ

Weekend Trip: বাঙালিয়ানা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের স্বাদ নিতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বাংলার রাজবাড়িগুলোকে। সেই তালিকায় রয়েছে বাওয়ালি রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি থেকে শুরু করে ইটাচুনা রাজবাড়ি। আর আজকের ডেস্টিনেশন হল মহিষাদল রাজবাড়ি।

Mahishadal Rajbari: জমিদার বাড়ির রথযাত্রা দেখতে পৌঁছে যান মহিষাদল, রাজবাড়িতে মাত্র ২,০০০ টাকায় রাত্রিযাপনের সুযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2023 | 11:38 AM

কোভিড পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে বেড়েছে ভ্রমণের নেশা। এই নেশা এতটাই গ্রাস করেছে বাঙালিকে যে, উইকএন্ডগুলোও আর কেউ বাড়ি বসে থাকছেন না। কাছেপিঠে ডেস্টিনেশন খুঁজে রওনা দিচ্ছেন তার উদ্দেশ্যে। আবার সেই ডেস্টিনেশনের খুঁটিনাটি তুলে ধরছেন ফেসবুকের ভ্রমণ গ্রুপ আর কয়েক সেকেন্ডের রিলসে। এভাবেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে একের পর এক পর্যটনকেন্দ্রের। আর সেই তালিকাতে নাম উঠে এসেছে বাংলার রাজবাড়িগুলোর। বাওয়ালি রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি থেকে শুরু করে ইটাচুনা রাজবাড়িতে ভিড় বাড়ছে বাঙালি পর্যটকদের। বাঙালিয়ানা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের স্বাদ নিতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এসব রাজবাড়িকে। আজকে এমনই একটি রাজবাড়ি খোঁজ দিচ্ছে TV9 বাংলা ডিজিটাল

কলকাতা থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরে মহিষাদল রাজবাড়ি। ষষ্ঠদশ শতকে জনার্দন উপাধ্যায় তিনটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন। যার মধ্যে প্রথমটি হল রঙ্গিবসান এবং দ্বিতীয়টি লালকুঠি এবং তৃতীয়টি হল ফুলবাগ। রঙ্গিবসান ও লালকুঠিতে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। আর এই তৃতীয়টি অর্থাৎ ফুলবাগই হল মহিষাদল রাজবাড়ি। ‘ফুলবাগ’ মানে ফুলের বাগান। আর এই রাজবাড়ির বাগান একদিনে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে রয়েছে রাজবাড়ির সৌন্দর্য। কড়িকাঠের ছাদ, চওড়া দালান, খরখরি, ঝাড়বাতি, দুর্গামণ্ডপ, কামান—রাজবাড়ির এসব একদিনে ঘুরে দেখা একটু অসম্ভব। তাই তো মহিষাদল রাজবাড়িতে রয়েছে রাত্রিযাপনের সুবিধা।

বর্তমানে এই রাজবাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে গর্গ‌ পরিবার। পর্যটকদের জন্য তিন ধরনের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও রয়েছে প্রাচীনকালের রাজবাড়ির ছোঁয়া। ২,০০০ টাকা থেকে শুরু রুমের ভাড়া। মহিষাদল রাজবাড়ির সবচেয়ে সুন্দর রুমটির ভাড়া প্রায় ৮,০০০ টাকা। পাশাপাশি মহিষাদল রাজবাড়িতে থাকলে ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার কোনও কিছুরই চিন্তা নেই। বরং, জমিদার বাড়ির আদলে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পদ খাওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। শ্বেতপাথরের টেবিলে কাঁসার থালায় খাবার পরিবেশন করা হয়। এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হলে আগে থেকে বুকিং করে যেতে হবে মহিষাদল রাজবাড়ি।

মহিষাদল রাজবাড়ি জুড়ে এত ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে, তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানা প্রায় অসম্ভব। মহিষাদল রাজবাড়িতে বেড়াতে আসা প্রতিটা মানুষ, যাতে এই প্রাসাদের ইতিহাস জানতে পারে, তারও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। রাজবাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে রাজবংশের ইতিহাস। এছাড়াও মহিষাদল রাজবাড়িতে রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। সেখানে গেলে মুখোমুখি হতে পারবেন মহিষাদল রাজবাড়ির ইতিহাসের।

মহিষাদল রাজবাড়ির আরও দু’টো ঐতিহ্য রয়েছে। রথযাত্রা ও দুর্গাপুজো। রঙ্গিবসান প্রাসাদটি পর্যটকদের জন্য সারাবছর বন্ধ থাকে। কিন্তু দুর্গাপুজো হয় এই রঙ্গিবসানেই। তখন অতিথিদের প্রবেশের অনুমতি মেলে এখানে। আর মহিষাদল রাজবাড়ির রথ গেলে রথযাত্রার সময় যেতে হবে সেখানে। এছাড়া বছরের যে কোনও সময় চলে যেতে পারেন মহিষাদল রাজবাড়ি। বম্বে রোড ধরে নন্দকুমার মোড় পার করে আরও ৮ কিলোমিটার যেতে হবে। আসবে কাপাসিরিয়া মোড়। সেখান থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গেলেই মহিষাদল রাজবাড়ি। সাধারণত এই রাস্তায় মানুষ লং ড্রাইভই পছন্দ করেন। ট্রেনে আসতে চাইলে হাওড়া থেকে সাউথইস্টার্ন লাইনের ট্রেন ধরে আপনাকে নামতে হবে মহিষাদল স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন মহিষাদল রাজবাড়ি যাওয়ার।