চিবিয়ে খাওয়া হত, বানান হত ওষুধ, চা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি আপনি আগে জানতেন?
চিন , কেনিয়া এবং শ্রীলঙ্কা... এই তিন দেশে সবচেয়ে বেশি চা প্রেমী মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। ভারতেও কিন্তু সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।
শীতের সকালে ধোঁয়া ওঠা গরম চা, অথবা অফিসের দশ মিনিটের ব্রেকে চা.. সঙ্গে সুখটান… আপনার চাই-চাই? কিন্তু জানেন কি একটা সময় শখের পানীয় নয়, চা ব্যবহৃত হত ওষুধ হিসেবে?
আজ বিশ্ব চা দিবস। যদিও United Nations general assembly র অনুমোদিত চা দিবস ২১ মে, তবুও বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে আজকের এই দিনটিকেও চা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই বিশেষ দিনে, জেনে নিন আপনার এই পছন্দের পানীয় সম্পর্কে কিছু না জানা তথ্য।
মুড রিফ্রেশার নয়, প্রাচীন যুগে চা প্রধানত ব্যবহৃত হত ওষুধ হিসেবে। ডিটক্সিফিকেশন অর্থাৎ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ নির্গত করার জন্য চা পান করা হত।
পান করা নয়, প্রকৃত অর্থেই ‘খাওয়া’ হত চা পাতা। গরম জলে ফুটিয়ে চা বানানোর রীতি তখনও প্রচলিত হয় নি।
কথিত আছে রাজা শি-নোর জন্য গরম জল ফোটানোর সময় চা গাছের ঝোপ থেকে কিছু চা পাতা সেই জলে উড়ে এসে পড়ে। রাজার কাছে সেই পানীয় নিয়ে যাওয়া হলে বেশ মনে ধরে তাঁর। তখন থেকেই চায়ের পরিচিতি।
চা পাতার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। ব্ল্যাক টি, গ্রীন টি এমনকি হোয়াইট টি-ও হয়। এদের মধ্যে বিশ্বের ৮৪ শতাংশ মানুষের পছন্দ কালো চা।
গ্রীন-টির উপকারিতা অনেক। শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে,ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও এর মধ্যে ক্যান্সাররোধী উপাদান রয়েছে।
এক পাউন্ড চায়ের প্যাকেট বানাতে প্রায় দু’ হাজারটি চা পাতার প্রয়োজন। স্বাদ ও গন্ধে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের চা পাওয়া যায় দার্জিলিঙে। এই জন্যই দার্জিলিং চা কে বলা হয় “champagne of the tea”।
গবেষণা বলছে কফির থেকেও চায়ের ক্যাফিন এর পরিমান বেশি থাকে। তবে চায়ে anti-oxidant উপাদান থাকায় মানবদেহে ক্ষতি কম।
চিন , কেনিয়া এবং শ্রীলঙ্কা… এই তিন দেশে সবচেয়ে বেশি চা প্রেমী মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। ভারতেও কিন্তু সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।