Ratha Yatra in Bengal: পুরীর মত বাংলাতেও রয়েছে বিখ্যাত রথযাত্রা! নামগুলি জানা আছে?

Ratha Yatra 2022: বিভিন্ন পুরাণিক গ্রন্থে এই রথযাত্রা নিয়ে বিভিন্ন কাহিনী রয়েছে। ওড়িশার পৌরাণিক গ্রন্থ ব্রহ্মান্ডপুরাণ থেকে জানা যায় , পুরীর এই রথ উৎসব সত্য যুগ থেকেই চলে আসছে। সেই সময়কার ওড়িশার রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ওড়িশায় একটি বিষ্ণুমন্দির গড়ার। রথযাত্রা নিয়ে আরো একটি পৌরাণিক কাহিনী শুনতে পাওয়া যায় , আনুমানিক প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে পুরীর এই রথযাত্রা শুরু হয়েছে।

| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 4:07 PM
শুধু পুরীর রথই নয়, বাংলার বুকেও রয়েছে প্রাচীন রথযাত্রার কাহিনি। বর্তমানে অনেকেই হয়তো এই রথযাত্রা সম্বন্ধে কম তথ্য জানেন। আজ পবিত্র রথযাত্রা। করোনা অতিমারির পর, মানে ২ বছর পর স্বাভাবিক ছন্দে ফের উন্মাদনা শুরু হয়েছে রথযাত্রা ঘিরে। পশ্চিমবঙ্গে অনেক রারজপরিবারে রথ টানার উত্‍সব ছিল। সেইগুলি যত্নের অভাবে ধুমধাম আর নেই, কিন্তু কয়েকটি রথ নিয়ে বাংলা বুকে এখনও কৌতূহল জাগে। এই রথ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনি।

শুধু পুরীর রথই নয়, বাংলার বুকেও রয়েছে প্রাচীন রথযাত্রার কাহিনি। বর্তমানে অনেকেই হয়তো এই রথযাত্রা সম্বন্ধে কম তথ্য জানেন। আজ পবিত্র রথযাত্রা। করোনা অতিমারির পর, মানে ২ বছর পর স্বাভাবিক ছন্দে ফের উন্মাদনা শুরু হয়েছে রথযাত্রা ঘিরে। পশ্চিমবঙ্গে অনেক রারজপরিবারে রথ টানার উত্‍সব ছিল। সেইগুলি যত্নের অভাবে ধুমধাম আর নেই, কিন্তু কয়েকটি রথ নিয়ে বাংলা বুকে এখনও কৌতূহল জাগে। এই রথ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনি।

1 / 7
কলকাতার ইস্কনের রথযাত্রা: বর্তমানে কলকাতার সবচেয়ে নামী রথযাত্রা! ১৯৭২ সাল থেকে এই রথযাত্রার শুরু। কলকাতার অ্যালবার্ট রোডে ইসকনের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে এই রথের শোভাযাত্রা শুরু হয় প্রতি বছর। তারপর ক্যামাক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, চৌরঙ্গী, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে তা শেষ হয় ১২ মহাত্মা গাঁধী রোডে, মল্লিকদের ঠাকুরবাড়িতে। এই রথের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, যে-কোনও ধর্মের, যে-কোনও সম্প্রদায়ের মানুষই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

কলকাতার ইস্কনের রথযাত্রা: বর্তমানে কলকাতার সবচেয়ে নামী রথযাত্রা! ১৯৭২ সাল থেকে এই রথযাত্রার শুরু। কলকাতার অ্যালবার্ট রোডে ইসকনের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে এই রথের শোভাযাত্রা শুরু হয় প্রতি বছর। তারপর ক্যামাক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, চৌরঙ্গী, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে তা শেষ হয় ১২ মহাত্মা গাঁধী রোডে, মল্লিকদের ঠাকুরবাড়িতে। এই রথের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, যে-কোনও ধর্মের, যে-কোনও সম্প্রদায়ের মানুষই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

2 / 7
মাহেশ: পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত তো বটে, এটি সারা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা হিসেবে বিবেচিত। শোনা যায়, ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের কোনো এক সময় ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী উত্‍সবের সূচনা করেছিলেন। তা প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। কথিত আছে, মাহেশের রথের মাথায় নাকি একটি নীলকন্ঠ পাখি এসে বসে। পুরীতে রথযাত্রা শুরু হলে সে উড়ে যায়।

মাহেশ: পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত তো বটে, এটি সারা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা হিসেবে বিবেচিত। শোনা যায়, ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের কোনো এক সময় ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী উত্‍সবের সূচনা করেছিলেন। তা প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। কথিত আছে, মাহেশের রথের মাথায় নাকি একটি নীলকন্ঠ পাখি এসে বসে। পুরীতে রথযাত্রা শুরু হলে সে উড়ে যায়।

3 / 7
গুপ্তিপাড়া: ১৭৪০ সালে এই রথ উত্‍সব শুরু করেন মধুসূদানন্দ। এখানে রথ উত্‍সবের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ৪০ কুইন্টাল খাবার ভান্ডার লুটের প্রথা। এখানকার রথের উচ্চতা ৩৬ ফুট। গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথ বের হয়েছিল জগন্নাথ দেবের পিসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। ১৮৭৩ সালে একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার পরে সেই রথের চাকার সংখ্যা ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হয়।

গুপ্তিপাড়া: ১৭৪০ সালে এই রথ উত্‍সব শুরু করেন মধুসূদানন্দ। এখানে রথ উত্‍সবের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ৪০ কুইন্টাল খাবার ভান্ডার লুটের প্রথা। এখানকার রথের উচ্চতা ৩৬ ফুট। গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথ বের হয়েছিল জগন্নাথ দেবের পিসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। ১৮৭৩ সালে একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার পরে সেই রথের চাকার সংখ্যা ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হয়।

4 / 7
আমোদপুর: গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা রাধামাধব। গ্রামের জমিদার পরিবার প্রতিবছর ধুমধাম করে রথ যাত্রার আয়োজন করেন। রথের মধ্যে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং থাকেন রাধামাধবও। আমোদপুর হল বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা সারা বাংলা জুড়ে।

আমোদপুর: গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা রাধামাধব। গ্রামের জমিদার পরিবার প্রতিবছর ধুমধাম করে রথ যাত্রার আয়োজন করেন। রথের মধ্যে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং থাকেন রাধামাধবও। আমোদপুর হল বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা সারা বাংলা জুড়ে।

5 / 7
মায়াপুর: মায়াপুর এবং রাজাপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। রাজাপুরের বেশিরভাগ বাসিন্দা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী। প্রায় পাঁচশো বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্নে পান, রাজাপুর থেকে মায়াপুরে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। প্রথা মেনেই প্রতিবছর রথযাত্রা উত্‍সব পালিত হয় মায়াপুরে। বিখ্যাত রথ উত্‍সব পালিত হয় মায়াপুরে।

মায়াপুর: মায়াপুর এবং রাজাপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। রাজাপুরের বেশিরভাগ বাসিন্দা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী। প্রায় পাঁচশো বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্নে পান, রাজাপুর থেকে মায়াপুরে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। প্রথা মেনেই প্রতিবছর রথযাত্রা উত্‍সব পালিত হয় মায়াপুরে। বিখ্যাত রথ উত্‍সব পালিত হয় মায়াপুরে।

6 / 7
মহিষাদল: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ১৭৭৬ সালে মহিষাদল বাড়ীর জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই উত্‍সবের সূচনা করেছিলেন।

মহিষাদল: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ১৭৭৬ সালে মহিষাদল বাড়ীর জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই উত্‍সবের সূচনা করেছিলেন।

7 / 7
Follow Us: