শরীর সুস্থ রাখতে জল অপরিহার্য। শরীর, ত্বক সবই সুস্থ থাকে যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন। ত্বকের অর্ধেকের বেশি সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে জল পানের মধ্যে। আর তাই নিয়ম করে অন্তত ৮ গ্লাস জল রোজ খেতেই হবে।
ত্বককে নিত্যদিন ব্রণ, ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া, প্রদাহের সমস্যা যদি লেগেই থাকে এর অর্থ আপনার শরীরে জলের অভাব রয়েছে। ত্বক যদি হাইড্রেটেড থাকে তাহলে এই সব সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। তাই নিয়ম করে ৮ গ্লাস জল পান করতেই হবে।
দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। পরিষ্কার জলে মুখ ধুতে হয়। তবেই বজায় থাকে ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জল্য। সেই সঙ্গে ত্বকের PH ব্যালেন্স পরিমাণও বজায় থাকে।
আজকাল কর্মজগতের চাপে ঠিকমতো ঘুম অনেকেরই হয় না। ফলে চোখের নীচে কালো দাগ পড়ে যাওয়া, চোখের ফোলাভাব সহ একাধিক সমস্যা থাকে। সব সময় সবটা যে মেকআপ দিয়ে ঢাকা যায় এমনও নয়। আর তাই প্রচুর পরিমাণে জল খান। ঠান্ডা জলে বার বার চোখ ধুয়ে নিন। এতে চোখে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। চোখের নীচের কালো দাগও থাকবে না।
জল নিয়ম করে খেলে তবেই ডিটক্সিফিকেশন ভাল হবে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে আসবে। এতে ত্বকের মুখ উন্মুক্ত হবে। এবং ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাওয়া-বাতাস চলাচল করবে। সেই সঙ্গে ব্ল্যাক হেড, দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই ডিটক্সিফিকেশনের। তাই জল একমাত্র সমাধান।
বয়স বাড়লে অনেক সময়ই ত্বক ঝুলে যায়। কিংবা অতিরিক্ত ওজন কমে গেলেও এই একসই সমস্যা হয়। মূলত কোলাজেন ভেঙে যায় বলেই এমন সমস্যা হয়। আর এই সমস্যায় প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল অ্যান্টি-এজিং-এরও কাজ করে। এতে মুখে চটজলদি বয়সের ছাপ পড়বে না।