সারারাতের দীর্ঘ উপবাস ভেঙে দিন শুরু করতে ব্রেকফাস্ট খুবই প্রয়োজন। প্রবাদ আছে, দিনের শুরুটা যদি ভাল হয় তাহলে সারাদিন ভাল কাটে। আমাদের সারাদিনের প্রয়োজনীয় এনার্জির অনেকটাই কিন্তু আসে ব্রেকফাস্ট থেকে। কোনও ভাবেই তাই ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না। ওটসের মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। ফলে যাংরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও ডায়াবিটিসের মত সমস্যা থাকলেও ওটসের থেকে ভাল ব্রেকফাস্ট আর কিছু হয় না। নিয়মিত ওটস খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে। তবে এই ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই কয়েকটি উপাদান
বাদাম- ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আমন্ড বা আখরোট। এই আখরোট কিন্তু শরীরের জন্য বেশ ভাল। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কমায় ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও। সেই সঙ্গে থাকে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
চিয়া সিডস- চিয়া সিডও আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আর তাই ওটসের সঙ্গে চিয়াসিডসও খেতে পারেন। ওটস, পছন্দের ফল, ড্রাই ফ্রুটস, চিয়া সিডস দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খান। এতে পেটও ভরবে আর শরীর থাকবে ভাল।
পিনাট বাটার- ওটস কিংবা মুজলির সঙ্গে উপর থেকে এক চামচ পিনাট বাটার ছড়িয়েল দিন। এতে স্বাদও বাড়ে আর খেতে বেশ ভাল লাগে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই বাটারের।
কুমড়ো বীজ- সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু এই বীজ ভীষণ রকম উপতারী। আর তাই পছন্দের ওটস কিংবা মুজলির সঙ্গে কুমড়ো বীজ মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না।