ত্বকের পরিচর্যা এবং যত্নের জন্য অনেক ধরনের ফুলের নির্যাস আমরা ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল ক্যালেন্ডুলা। এই ফুল ছিঁড়ে কুচি করে নিলে অনেকটা শুকনো গাঁদাফুলের মতো দেখতে লাগে। ফুলের রঙের সঙ্গে হলুদ গাঁদা আর সূর্যমূখী ফলের আকারের বেশ মিল রয়েছে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে এই ক্যালেন্ডুলা। দেখে নেওয়া যাক ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে এই ফুল ব্যবহার করবেন।
আমাদের স্কিনে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের র্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দেয়। বিশেষ করে গরমকালে এইসব র্যাশ এবং অ্যালার্জির প্রবণতা বাড়ে। বর্ষাকালে আবার ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে গেলেও ফেটে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এইসব সমস্যার সমাধান রয়েছে ক্যালেন্ডুলা অয়েল বা তেলে। ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস থেকে এই তেল তৈরি হয়।
সানস্ক্রিন হিসেবেও দারুণ ভাবে কাজ করে ক্যালেন্ডুলার নির্যাস মেশানো ক্রিম। বাড়িতে ট্যান তোলার জন্য ঘরোয়া যেসব প্যাক তৈরি করেন আপনি সেখানে মিশিয়ে নিতে পারেন এই ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস। উপকার পাবেন অল্প সময়েই। দূর হবে আপনার ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ এবং ট্যান।
ব্রনর সমস্যায় ভোগেন না এমন মহিলার সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা। এই সমস্যা পুরুষদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। ত্বকে ব্রনর সমস্যা এবং তার ফলে যে দাগ-ছোপ পড়ে যায়, সেসব দূর করতে ক্যালেন্ডুলা ফুলের জুরি মেলা ভার।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতেও কাজে লাগে ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস। এছাড়াও এই ফুলের সাহায্যে এগজিমার মতো সমস্যাও দূর হয়। এছাড়া অনেক সময় মুখে তেল-ময়লা জমে স্কিন পোরসগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এইসব পোরস খুলতে কাজে লাগে ক্যালেন্ডুলা অয়েল বা এই ফুলের নির্যাস মেশানো ফেসপ্যাক। ত্বকের পোরসগুলো খুলে গেলে ভাল ভাবে অক্সিজেন এবং রক্ত সঞ্চালন হয় বিভিন্ন কোষে। ফলে ত্বক থাকে সতেজ।
কোথাও কেটে ছড়ে গেলে সেই ক্ষতস্থানে যদি ক্যালেন্ডুয়াল অয়েল লাগানো যায়, তাহলে ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলে ইনফেকশন ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
ক্যালেন্ডুলা অয়েল মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। বিভিন্ন দাগ-ছোপ দূর হয়। এছাড়াও ত্বক সবসময়ই খুব গ্লো করে বা উজ্জ্বল থাকে। ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস মিশ্রিত ফেসপ্যাক দিয়ে মুখে সপ্তাহে অন্তত একবার ফেসয়াল বা স্ক্রাব করতে পারলে উপকার পাবেন।