শুরু হয়ে গিয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা রোজা রাখেন। সেহরিতে ভরপেট খাবার খান। তারপর আবার ইফতারে খাবার খেয়ে রোজা ভাঙেন। আর রোজা ভাঙার সময় পাতে থাকে খেজুর।
রমজানের ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি রয়েছে। উপোস ভাঙা হয় খেজুর খেয়ে। যুগ যুগ ধরে বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই রীতি চলে আসছে। যদিও এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। আর তা হল খেজুর মতো স্বাস্থ্যকর খাবার আর কিছু হয় না।
খেজুরের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল। সুতরাং, রোজা রাখলেও রমজান মাসে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।
সারাদিনের উপোসের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু একটা খেজুর খেলেই এনার্জি লেভেল দ্রুত বেড়ে যায়। কারণ খেজুরের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং, ইফতারে খেজুর খেলে ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার ক্লান্তি ভাব কেটে যাবে।
অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে খেজুর খেলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে। অ্যাসিডিটির কারণে শরীরে যে অস্বস্তি তৈরি হয় সেটাও খেজুর খাওয়ার ফলে কমে যায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।
যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী খেজুর। যেহেতু এতে পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে, তাই এটি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ায়। কিন্তু কিডনির সমস্যায় খেজুর না খাওয়াই ভাল।
দীর্ঘক্ষণ কিছু না খেলে ইফতারের সময় একসঙ্গে অনেক খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এই সমস্যা আর হবে না। কারণ খেজুরের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, যা হজম হতে বেশি সময় লাগে। তাছাড়া ফাইবার পেটকে ভর্তি রাখে।
রমজানে রোজা না রাখলেও আপনি খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুরের মধ্যে যে পুষ্টি পাওয়া যায়, তা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেজুর খেতে পারেন। অন্যদিকে, গর্ভবতী মহিলারাও আয়রনের ঘাটতি মেটাতে খেজুর খেতে পারেন।