Photo Gallery: বিজেপির কর্মসূচিতে ‘পুলিশি লাঠি’, ‘তালিবান শাসন’, তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর!

Photo Gallery: বিজেপির কর্মসূচিতে 'পুলিশের লাঠি', কী বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার? দেখুন গ্যালারি...

| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 9:10 PM
বাঁকুড়া:  ফের শহিদ সম্মান কর্মসূচিতে 'পুলিশি লাঠি'। আটকে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের কর্মসূচি, অভিযোগ এমনটাই। সোমবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানা এলাকার হলুদকানালীর ঘটনা। প্রতিবাদে, মন্ত্রীর সঙ্গেই পথে বসে অবরোধ বিজেপি নেতা-কর্মীদের।

বাঁকুড়া: ফের শহিদ সম্মান কর্মসূচিতে 'পুলিশি লাঠি'। আটকে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের কর্মসূচি, অভিযোগ এমনটাই। সোমবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানা এলাকার হলুদকানালীর ঘটনা। প্রতিবাদে, মন্ত্রীর সঙ্গেই পথে বসে অবরোধ বিজেপি নেতা-কর্মীদের।

1 / 5
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে খুন হব বিজেপি কর্মী অজিত মুর্মু। সোমবার, পুণশ্য়া গ্রামে ওই মৃত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। কিন্তু, গ্রামে প্রবেশের আগেই জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস ও  তড়ার মহকুমাশাসক কাশীনাথ মিস্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশাল এক পুলিশ বাহিনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পথ রোধ করেন। ঘটনাস্থলে, পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পদ্ম নেতারা। এরপরেই রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা।

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে খুন হব বিজেপি কর্মী অজিত মুর্মু। সোমবার, পুণশ্য়া গ্রামে ওই মৃত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। কিন্তু, গ্রামে প্রবেশের আগেই জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস ও তড়ার মহকুমাশাসক কাশীনাথ মিস্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশাল এক পুলিশ বাহিনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পথ রোধ করেন। ঘটনাস্থলে, পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পদ্ম নেতারা। এরপরেই রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা।

2 / 5
রাজ্যে 'তালিবান শাসন' চলছে বলে অভিযোগ মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। তাঁর কথায়, "পুলিশ ইচ্ছে করে আমাদের পথ রোধ করেছে। রাজ্যে তালিবান শাসন চলছে। পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইনের শাসন নেই।" পাল্টা, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, "শহিদদের বাড়ি যাওয়ার নাম করে জঙ্গলমহল এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে খবরে আসার চেষ্টা করছেন। তাই পুলিশ সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করেছে।"

রাজ্যে 'তালিবান শাসন' চলছে বলে অভিযোগ মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। তাঁর কথায়, "পুলিশ ইচ্ছে করে আমাদের পথ রোধ করেছে। রাজ্যে তালিবান শাসন চলছে। পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইনের শাসন নেই।" পাল্টা, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, "শহিদদের বাড়ি যাওয়ার নাম করে জঙ্গলমহল এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে খবরে আসার চেষ্টা করছেন। তাই পুলিশ সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করেছে।"

3 / 5
কিছুদিন আগেই, শহিদ সম্মান কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সরব হয় তৃণমূল। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, শিক্ষামন্ত্রী কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পারেন। তাঁর সম্মান জ্ঞাতার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওইদিন দলীয় কর্মীরা প্রবেশ করেন। কিন্তু, বিজেপি সাংসদ ছাড়া আর কেউ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেননি।

কিছুদিন আগেই, শহিদ সম্মান কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সরব হয় তৃণমূল। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, শিক্ষামন্ত্রী কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পারেন। তাঁর সম্মান জ্ঞাতার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওইদিন দলীয় কর্মীরা প্রবেশ করেন। কিন্তু, বিজেপি সাংসদ ছাড়া আর কেউ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেননি।

4 / 5
উল্লেখ্য, রাজ্যে শহিদ সম্মান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরেই একের পর এক 'বাধার' সম্মুখীন হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আটক হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। সেইসময়, শান্তনু অভিযোগ করে বলেছিলেন, "রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে।" পরবর্তীতে, রাজ্য সরকারকে তালিবান শাসকের 'সমতুল্য' বলে নিশানা করেছেন একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের তীর্যক মন্তব্য, 'দিদিকে ভরসা করলে তালিবানের গুলি খেতে হবে'। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্য সরকার পুরো তালিবান ২'। ইতিমধ্যেই, নাম না করে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'লেডি তালিবান' বলে কটাক্ষ হেনে শাসক শিবিরের তোপের মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তাঁর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম-কংগ্রেসও।

উল্লেখ্য, রাজ্যে শহিদ সম্মান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরেই একের পর এক 'বাধার' সম্মুখীন হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আটক হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। সেইসময়, শান্তনু অভিযোগ করে বলেছিলেন, "রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে।" পরবর্তীতে, রাজ্য সরকারকে তালিবান শাসকের 'সমতুল্য' বলে নিশানা করেছেন একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের তীর্যক মন্তব্য, 'দিদিকে ভরসা করলে তালিবানের গুলি খেতে হবে'। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্য সরকার পুরো তালিবান ২'। ইতিমধ্যেই, নাম না করে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'লেডি তালিবান' বলে কটাক্ষ হেনে শাসক শিবিরের তোপের মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তাঁর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম-কংগ্রেসও।

5 / 5
Follow Us: