শীতের রুক্ষতার সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক তেলের উপর। সঠিক তেলের ব্যবহার আপনার ত্বককে শুষ্কভাব, ফাটা, খড়ি ফোঁটার মতো সমস্যা দূর করে দিতে পারে। তাছাড়া প্রাকৃতিক তেল হওয়ায় এগুলো ত্বকের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলবে না।
রূপচর্চার অঙ্গ হতে পারে আর্গান অয়েল। ত্বকের কালো দাগছোপ, শুষ্কভাব ইত্যাদি দূর করতে আর্গান অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল নিয়ে ত্বকের উপর মালিশ করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে ত্বক এই তেল শুষে নেবে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকে ক্যালেন্ডুলা অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক খড়ি ফোঁটার সমস্যা দূর করে দেবে। পাশাপাশি ত্বকে ক্যালেন্ডুলা অয়েল মাখলে এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়। পাশাপাশি এটি চোখের নীচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে নারকেল তেলের কোনও জুড়ি নেই। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে ত্বকের প্রদাহ কমে, শুষ্কভাব কমে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। নারকেল তেল ত্বককে পুষ্টও করে তোলে।
ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে অনেকেই জোজোবা তেল ব্যবহার করেন। এই তেল ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরাও এই জোজোবা তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আমন্ড অয়েল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হয়। বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বকের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে আমন্ড অয়েল দারুণ উপযোগী। চোখের নীচের কালচে দাগও দূর করে দেয় আমন্ড অয়েলও। প্রতিদিন রাতে আপনি এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।