অনেক মহিলাই যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এ ক্ষেত্রে মাতৃগর্ভে এক সঙ্গে বেড়ে ওঠে দুটি সন্তান। একেই বলে যমজ সন্তান। কিন্তু কেন তা হয় জানেন?
যমজ সন্তান ২ ধরনের হয়ে থাকে। আইডেন্টিক্যাল টুইন এবং নন আইডেন্টিক্যাল টুইন।
প্রাকৃতিকভাবে প্রতি ঋতুচক্রে মেয়েদের ওভ্যুলেশন হয়। এই প্রক্রিয়ায় ডিম্বাশয় বা ওভারি থেকে একটি করে ডিম্বানু বেরিয়ে আসে। সেই ডিম্বানু শুক্রানুর দ্বারা নিষিক্ত বা ফার্টিলাইজড হলে ভ্রুণের জন্ম হয়।
ডিম্বানু এবং শুক্রানুর মিলনে তৈরি হয় জাইগোট। সেই জাইগোট অনেক ক্ষেত্রে দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। তখন দুটি ভ্রুণ তৈরি হয় এবং তা মাতৃগর্ভে বড় হতে থাকে। এই ধরনের যমজ সন্তানকে বলে আইডেন্টিক্যাল টুইন।
এই ধরনের যমজ বাচ্চারা দেখতে একই রকমের দেখতে হয়ে থাকে। আবার এই ধরনের যজম সন্তান অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই লিঙ্গের হয়। অর্থাৎ ছেলে হলে দুজনই ছেলে বা মেয়ে হলে দুজনই মেয়ে।
কিন্তু অনেক সময় মহিলাদের ওভ্যুলেশনের সময় একটির পরিবর্তে দুটি ডিম্বানু বেরিয়ে আসে। সেই দুই ডিম্বানু যদি দুটি শুক্রানু দ্বারা ফার্টিলাইজ হয়, তাহলেও যমজ সন্তান হয়। এই ধরনের যমজ সন্তানদের নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন বলে। তবে এই যমজ সন্তান দেখতে আলাদা হয়।
টুইন প্রেগন্যান্সিতে মায়ের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকে অনেকটাই বেশি। এমনকি গর্ভস্থ সন্তানের জন্যও তা অনেক সময় স্বাস্থ্যকর হয় না। তাই টুইন প্রেগন্যান্সি হলে তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন হয়।
যাঁদের পরিবারে যমজ সন্তান হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাঁদের মধ্যে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আফ্রিকার এক জনজাতির মহিলাদের মধ্যে যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।