ভারতবর্ষের প্রায় সর্বত্র এই ভেষজ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। এর গুণাগুণও অনেক। এককালে বাচ্চাদের প্রায় জোর করেই এই ভেষজ খাওয়ানো হত। এমনকী ভয় দেখানো হত খাবার না খেলে এই চিরতার জল খাইয়ে দেওয়া হবে। বহু বাংলা গল্প-উপন্যাসেও বলা রয়েছে এই ভেষজের কথা।
মূলত কালমেঘ গাছকে তুলে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়। এর ডাল শুকিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে, সারারাত ভিজিয়ে রাখা হয়। সেটি ওষুধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গেঁটে বাত এবং জয়েন্টের যে কোনও ব্যথায় অর্বথ্য ওষুধ এই কালমেঘ।
যে কোনও তেতো খাবারই শরীরকে একাধিক রোগ সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। তেমনই হল এই চিরতার জল। শরীরে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কম হয়। জ্বরের সময় আগেকার দিনে এই ভেষজ ভিজিয়ে খাওয়ানো হত।
যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের জন্যেও চিরতার জল খুবই উপকারী। চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে রক্ত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম রাখে।
অনেকেই নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। এই সব অ্যালার্জির সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে চিরতা। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চোখ ফুলে যায়। শরীর ফুলে যায়। এছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যাও আসে।
লিভারের সমস্যায় এখন অধিকাংশই ভোগেন। এর প্রধান কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাওয়া-দাওয়া। চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
ভিতর থেকে শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে চিরতা। রোজ খেতে পারলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভাল হয়। যাবতীয় ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। পাশাপাশি শরীর থাকে ফ্রেশ। বদহজম, অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূরে থাকে।