Jamaisasthi 2024: জামাইষষ্ঠীর দিন এই কাজ না করলেই গোটা ব্রত হবে মাটি! সতর্ক থাকুন শাশুড়িমায়েরা

Significance of Jamaisasthi: বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি মাসের শুক্লা তিথিতে ষষ্ঠী পুজো হয়ে থাকে। তবে মাসভেদে ষষ্ঠী দেবীর ভিন্ন নামে ও বিশেষ আচার মেনে পুজো করার রীতি রয়েছে। তেমন আজকের দিনের ষষ্ঠী তিথিকে জামাইষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী বলা হয়ে থাকে। বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতিতে জামাইষষ্ঠী পালনের বিশেষ রীতি রয়েছে, যেগুলি না করলে এদিনের ব্রত পালন বৃথা হয়ে যেতে পারে।

| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2024 | 4:19 PM
আজ বাঙালির ঘরে ঘরে উত্‌সব। সকাল থেকে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে, মেয়ে-জামাইকে পুজো করে ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন বাঙালি মায়েরা। যাদের মেয়ে বা কন্যা নেই, তাঁরাও এই ব্রত ও উপবাস পালন করেন। শুধুমাত্র সন্তানের মঙ্গলকামনার জন্য ষষ্ঠী মায়ের ব্রত পালন করে থাকেন।

আজ বাঙালির ঘরে ঘরে উত্‌সব। সকাল থেকে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে, মেয়ে-জামাইকে পুজো করে ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন বাঙালি মায়েরা। যাদের মেয়ে বা কন্যা নেই, তাঁরাও এই ব্রত ও উপবাস পালন করেন। শুধুমাত্র সন্তানের মঙ্গলকামনার জন্য ষষ্ঠী মায়ের ব্রত পালন করে থাকেন।

1 / 9
বাংলার অতিপ্রাচীন ব্রত-আচার পালনের মধ্যে অন্যতম হল জামাইষষ্ঠী। আর হিন্দুদের কাছে দেবী ষষ্ঠী হলেন সন্তান, বংশবৃদ্ধির দেবী। মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার আশীর্বাদ প্রদান করেন তিনি। জামাইষষ্ঠী মানেই বিপুল পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া, উপহার। জামাই আদরে কোনও ত্রুটি রাখেন না শাশুড়িমায়েরা।

বাংলার অতিপ্রাচীন ব্রত-আচার পালনের মধ্যে অন্যতম হল জামাইষষ্ঠী। আর হিন্দুদের কাছে দেবী ষষ্ঠী হলেন সন্তান, বংশবৃদ্ধির দেবী। মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার আশীর্বাদ প্রদান করেন তিনি। জামাইষষ্ঠী মানেই বিপুল পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া, উপহার। জামাই আদরে কোনও ত্রুটি রাখেন না শাশুড়িমায়েরা।

2 / 9
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি মাসের শুক্লা তিথিতে ষষ্ঠী পুজো হয়ে থাকে। তবে মাসভেদে ষষ্ঠী দেবীর ভিন্ন নামে ও বিশেষ আচার মেনে পুজো করার রীতি রয়েছে। তেমন আজকের দিনের ষষ্ঠী তিথিকে জামাইষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী বলা হয়ে থাকে। বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতিতে জামাইষষ্ঠী পালনের বিশেষ রীতি রয়েছে, যেগুলি না করলে এদিনের ব্রত পালন বৃথা হয়ে যেতে পারে।

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি মাসের শুক্লা তিথিতে ষষ্ঠী পুজো হয়ে থাকে। তবে মাসভেদে ষষ্ঠী দেবীর ভিন্ন নামে ও বিশেষ আচার মেনে পুজো করার রীতি রয়েছে। তেমন আজকের দিনের ষষ্ঠী তিথিকে জামাইষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী বলা হয়ে থাকে। বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতিতে জামাইষষ্ঠী পালনের বিশেষ রীতি রয়েছে, যেগুলি না করলে এদিনের ব্রত পালন বৃথা হয়ে যেতে পারে।

3 / 9
জামাইষষ্ঠীর প্রথম রীতি হল ফলাহার করা। জামাই বাড়িতে এলে তাকে তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করে, আম-জাম, কাঁঠাল,জামরুল, লিচু প্রভৃতি মরসুমি ফল দিয়ে ফলাহার করানো। তারপর দুর্বা ও বাঁশ পাতা, জলের ঘটি নিয়ে নদীতে বা পুকুরে গিয়ে স্নান করতে যাওয়ার নিয়ম। এই নিয়মকে বলা হয় পাখা ধোওয়া।

জামাইষষ্ঠীর প্রথম রীতি হল ফলাহার করা। জামাই বাড়িতে এলে তাকে তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করে, আম-জাম, কাঁঠাল,জামরুল, লিচু প্রভৃতি মরসুমি ফল দিয়ে ফলাহার করানো। তারপর দুর্বা ও বাঁশ পাতা, জলের ঘটি নিয়ে নদীতে বা পুকুরে গিয়ে স্নান করতে যাওয়ার নিয়ম। এই নিয়মকে বলা হয় পাখা ধোওয়া।

4 / 9
ষষ্ঠীর দেবীকে সম্পূর্ণ রূপে দেবদেবী বলে মনে করা হয় না। তাঁকে লৌকিক দেবী রূপে পুজো করা হয়। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইকে ঘিরে ঘরে ঘরে এক উত্‍সবের আকার ধারণ করেছে। আধুনিক সমাজে জামাইষষ্ঠী শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ষষ্ঠীর ব্রত পালন হয়ে উঠেছে ফিকে। 

ষষ্ঠীর দেবীকে সম্পূর্ণ রূপে দেবদেবী বলে মনে করা হয় না। তাঁকে লৌকিক দেবী রূপে পুজো করা হয়। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইকে ঘিরে ঘরে ঘরে এক উত্‍সবের আকার ধারণ করেছে। আধুনিক সমাজে জামাইষষ্ঠী শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ষষ্ঠীর ব্রত পালন হয়ে উঠেছে ফিকে। 

5 / 9
হাতপাখা দিয়ে জামাইকে হাওয়া করার অর্থ রয়েছে, যে কোনও বিপদ থেকে সন্তানদের রক্ষা করা। সব সঙ্কট যেন সন্তানদের থেকে দূরে থাকে। পাখা ধোওয়ার পর জামাইকে হাওয়া করার আগে তিনবার ষাট, ষাট, ষাট বলে বাতাস করা হয়। এই তিনবার ষাট-ষাট বলার অর্থও রয়েছে।

হাতপাখা দিয়ে জামাইকে হাওয়া করার অর্থ রয়েছে, যে কোনও বিপদ থেকে সন্তানদের রক্ষা করা। সব সঙ্কট যেন সন্তানদের থেকে দূরে থাকে। পাখা ধোওয়ার পর জামাইকে হাওয়া করার আগে তিনবার ষাট, ষাট, ষাট বলে বাতাস করা হয়। এই তিনবার ষাট-ষাট বলার অর্থও রয়েছে।

6 / 9
এই তিনবার ষাট বলার অর্থ হল সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করা। এদিকে পুজোর থালিতে রাখা ধান হল সুখ-সমৃদ্ধি ও সন্তান-সন্তানাদির প্রতীক। অন্যদিকে, দূর্বা ঘাস হল চিরসবুজ ও চিরসজীবতার প্রতীক। শ্বশুড়বাড়িতে নিজ কন্যা যাতে সুখে-শান্তিতে ও সন্তান নিয়ে ভরা সংসার করতে পারে। সেই প্রার্থনা করে এই ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা রীতি রয়েছে। 

এই তিনবার ষাট বলার অর্থ হল সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করা। এদিকে পুজোর থালিতে রাখা ধান হল সুখ-সমৃদ্ধি ও সন্তান-সন্তানাদির প্রতীক। অন্যদিকে, দূর্বা ঘাস হল চিরসবুজ ও চিরসজীবতার প্রতীক। শ্বশুড়বাড়িতে নিজ কন্যা যাতে সুখে-শান্তিতে ও সন্তান নিয়ে ভরা সংসার করতে পারে। সেই প্রার্থনা করে এই ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা রীতি রয়েছে। 

7 / 9
বাঙালি রীতি মতে, ঘর ও মন্দিরের বাইরে বট, করমচার ডাল পুঁতে প্রতীকী অর্থে অরণ্য রচনা করে এই পুজো-পাঠ পালন করা হয়। এজন্য জামাইষষ্ঠীকে অরণ্য ষষ্ঠীও বলা হয়। ষষ্ঠীর উদ্দেশ্যে মন্দিরে বা পুজোর ঘরে ঘট স্থাপন করা হয়। ওই ঘট থেকে অন্যের দেওয়া বারোটি দূর্বা নিয়ে নিজের দূর্বার গাছায় বাঁধা হয়। 

বাঙালি রীতি মতে, ঘর ও মন্দিরের বাইরে বট, করমচার ডাল পুঁতে প্রতীকী অর্থে অরণ্য রচনা করে এই পুজো-পাঠ পালন করা হয়। এজন্য জামাইষষ্ঠীকে অরণ্য ষষ্ঠীও বলা হয়। ষষ্ঠীর উদ্দেশ্যে মন্দিরে বা পুজোর ঘরে ঘট স্থাপন করা হয়। ওই ঘট থেকে অন্যের দেওয়া বারোটি দূর্বা নিয়ে নিজের দূর্বার গাছায় বাঁধা হয়। 

8 / 9
এরপর কন্যা, বিশেষ করে জামাইকে ''ষাটের জল” দিয়ে ও হাতে হলুদ সুতো বেঁধে দেওয়ার রীতি। বর্তমানে, নতুন জামাকাপড়, উপহার, ফল, পান-সুপারি, ধান- দূর্বা, করমচা দিয়ে শাশুড়িমায়েরা জামাইষষ্ঠী পালন করে থাকেন।

এরপর কন্যা, বিশেষ করে জামাইকে ''ষাটের জল” দিয়ে ও হাতে হলুদ সুতো বেঁধে দেওয়ার রীতি। বর্তমানে, নতুন জামাকাপড়, উপহার, ফল, পান-সুপারি, ধান- দূর্বা, করমচা দিয়ে শাশুড়িমায়েরা জামাইষষ্ঠী পালন করে থাকেন।

9 / 9
Follow Us: