সনাতন ঐতিহ্যে ঈশ্বরের উপাসনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, আপনি যদি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার দেবতার পূজা করেন তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হয়।
1 / 10
ঈশ্বরের উপাসনার জন্যও কিছু নিয়ম করা হয়েছে যা সুখ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, আরতি ছাড়া আপনার পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।
2 / 10
প্রতিদিন দেবতার উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করা উচিত। আসুন জেনে নিন ভগবানের আরতি করার সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি...
3 / 10
পুজোয় কখন আরতি করতে হবে : ভগবানের আরাধনায় যে আরতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, তা সর্বদা পুজোর শেষে করা হয়। এছাড়াও, আপনি প্রতিদিন আপনার সকাল এবং সন্ধ্যের আরাধনায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে আরতি করতে পারেন। তবে সম্ভব হলে দিনে পাঁচবার আরতি করতে পারেন।
4 / 10
দেবতার আরতি কীভাবে করবেন:দেবতাদের আরতি করার সময়, বিশ্বাস ও ভক্তির মাধ্যমে পুজো পাঠ করা উচিত। যেমন, একটি প্রদীপ বা পাঁচ কিংবা সাতটি প্রদীপ দিয়েও আরতি করতে পারেন।
5 / 10
একইভাবে, আপনার দেবতা অনুসারে, তেল বা ঘি এর প্রদীপ জ্বালান। বাড়িতে বা মন্দিরে পূজা করার সময়, আপনার দেবতার পায়ের দিকে চারবার, নাভির দিকে দুইবার এবং শেষে একবার তাদের মুখের দিকে ঘুরিয়ে আরতি সম্পূর্ণ করুন।
6 / 10
বসে বসেও আরতি করতে পারবেন: ভগবানের উপাসনায় সর্বদা দাঁড়িয়ে আরতি করার নিয়ম আছে, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে বসেও আরতি করতে পারেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, আপনি যদি শারীরিকভাবে দাঁড়াতে অক্ষম হন বা অসুস্থ হন, তবে আপনি ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বসে আরতি করতে পারেন।
7 / 10
বিশ্বাস করা হয় যে সত্যিকারের হৃদয় দিয়ে করা আরতি সমস্ত দুঃখ দূর করে ও দেব-দেবীদের কাছ থেকে পছন্দসই বর প্রদান করেন।
8 / 10
আরতি করার সময় কোন নিয়মগুলি মাথায় রাখবেন? ভক্ত বা অন্য কোন ব্যক্তি আরতি করার পর সরাসরি আরতি গ্রহণ করবেন না। আরতি করার পর প্রথমে তার উপর জল ফেলতে হবে।
9 / 10
এরপর পূজার পবিত্র জল সবার গায়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। যে প্রথম আরতি করেছেন, তিনিই প্রথম আরতির তাপ নিতে পারবেন। তারপর আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরা আরতির তাপ নিতে পারবেন।
