চৈত্রের শেষে যেভাবে চড়ছে পারদ তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছে বাজারে। চৈত্র সেলের শেষবেলার মার্কেট জমে উঠেছে। সস্তায় বিকিকিনিতে ঘাম, গরম উপেক্ষা করেই মানুষ আসছেন। এমনকী অফিস ফেরত সেলের বাজার থেকে কাপ, বোতল, বেডশিটও অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সেই সঙ্গে চলছে পেটপুজোও। কেউ ফুচকা, কেউ ধোসা, চা, লস্যি এসব তো আছেই। যতই নিউ ইয়ার নিয়ে মাতামাতি হোক না কেন বাঙালির কাছে এই পয়লা বৈশাখের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন জামা, মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনের শুরু। এদিন সব বাড়িতেই ভাল মন্দ সব রান্নাও করা হয়। ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা, মাটন, চিংড়ি, এঁচোড়, মুগ ডাল, ডাবের পায়েস, সন্দেশ, রসগোল্লাতে মেনু সাজানো থাকে।
তবে তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে এত কিছু না খাওয়াই ভাল। রোদে গরমে সকালে যদি লুচি দিয়ে শুরু করে রাতে ভাত-মটনে এসে শেষ করেন তাহলে হজমের সমস্যা হবেই। বরং ব্যালেন্স করে খাবার খান। গরমের দুপুরে বানিয়ে নিন খাঁটি বাঙালি হালকা-পাতলা খাবার।
বিউলির ডাল, আলুপোস্ত, শুক্তো, আম দিয়ে মাছের টক, চিকেনের পাতলা ঝোল, কুমড়ো ফুলের বড়া, পটল বাটা এসব দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারেন নববর্ষের থালি। এতে মন ভরবে আর গরমের দিনে শরীরও থাকবে সুস্থ। আর তাই আজ রইল মাছের টকের রেসিপি।
পাকা রুই মাছ এনে ভাল করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এরপর মাছগুলো সরষের তেলে ভাল করে ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলে সরষে ফোড়ন দিয়ে কাঁচা আম লম্বা করে কেটে নেড়ে নিন।
এবার এর মধ্যে হলুদ, চিনি, স্বাদমতো নুন, ২ চামচ সরষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা, আর এক কাপ জল দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে আম সিদ্ধ হয়ে যাবে।
আম সিদ্ধ হয়ে গেলে ওর মধ্যে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে আর চিনি দিতে হবে । তার পর ভাজা মশলা ছড়িয়ে একটু ফুটে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে ।এটা একটু ঝোল থাকবে । ব্যাস তাহলেই রেডি আম দিয়ে রুই মাছের টক। গরম ভাতে খেতে দারুণ লাগে