গরমের দিনে বাজারে চাহিদা থাকে পটলের। এই সময় পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে এই সব সবজিই বাজার আলো করে থাকে। অনেকেই পটল খেতে চান না, বিরক্ত হন।
তবে পটলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। পটলের মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। তবে ভিটামিন, খনিজ এসব প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও পটলের মধ্যে অনেকটা পরিমাণে জলও থাকে।
পটল ভাজা, পটল ভর্তা, পটল দিয়ে মাছের ঝোল, পটল চিংড়ি, দই পটল, নারকেল দিয়ে পটল, পটল পোস্ত, পটলের দোরমা হরেক পদ বানানো হয়। এসবের মধ্যে অনুষ্ঠান বাড়িতে দই পটলের কদর সবচাইতে বেশি।
নিরামিষ পদ হিসেবে এই দই পটল খুবই ভাল লাগে খেতে। বিশেষত পোলাওয়ের সঙ্গে। বাসন্তী পোলাও, দই পটল, বেগুনি একসঙ্গে স্বাদে লা-জবাব। তবে এই অনুষ্ঠান বাড়িতে দই পটল খেতে যত ভাল হয় বাড়িতে বানালে সেই স্বাদ কিছুতেই আসে না।
আজ থেকে বানিয়ে নিন এই সব ট্রিকস মেনে। এতে খেতে তো ভাল হবেই সেই সঙ্গে রোস্তোরাঁর সঙ্গে কোনও ফারাক খুঁজে পাবেন না।
পটলের খোসা ছুলে নিন। পুরো খোসা কখনই ছাড়াবেন না। এবার পটলের মধ্যে নুন-হলুদ মাখিয়ে নিন। কাঁচা লঙ্কা, আদা, গোটা জিরে বেটে আলাদা করে রাখুন।
পোস্ত-কাজু বাদাম সামান্য জল দিয়ে বেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে পটল গুলি ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলেই কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার এর মধ্যে আদা-কাঁচালঙ্কা বাটা, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে পটল দিয়ে কষিয়ে টকদই উপর থেকে দিন।
টকদই ভাল করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা তুলে কাঁচা লঙ্কা, গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি ছড়িয়ে দিন। নুন-মিষ্টি চেখে নেবেন। ব্যাস তৈরি সুস্বাদু দই পটল।