গরম যে ভাবে বাড়ছে তাতে কোনও খাবারেই রুচি নেই। কিছু খেতে ইচ্ছেও করছে না। রান্নাঘরে ঢুকলেও গলদঘর্ম হয়ে যেতে হচ্ছে। বৃষ্টি এখনও অবশ্য বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে। আপাতত তার আগমন বার্তা নেই।
রোদ, গরম, ঘাম, তাপপ্রবাহে অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর তাই যথা সম্ভব হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ঘোল, লস্যি, টকদই, লেবুর সরবত এসবই বেশি করে খেতে হবে।
দুপুরে ভাতের সঙ্গে মশলাদার তরকারি না খেয়ে একদম হালকা খাবার খান। সবজি দিয়ে মাছের ঝোল, মাছের টক এসবই ভাল। ভুল করেও বিরিয়ানি নয়।
গরমের সেরা খাবার হল পান্তা। ভাত করে তাতে জল ঢেলে, অল্প নুন আর পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। সঙ্গে রাখুন আলুসেদ্ধ আর মাছভাজা। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে আর হজমও হবে।
যাঁদের দুপুরে অফিস থাকে তাঁদের অবশ্য এত আয়েষ করে দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় থাকে না। এক্ষেত্রে তাঁরা রাতে বাড়ি ফিরে ভাত খান।
রাতে আয়েষ করে পান্তা ভাতে একটু লঙ্কার আচারের তেল, কাঁচা পেঁয়াজ, চপ আর পেঁয়াজ কুচি সঙ্গে দিয়ে মেখে খেতে বেশ লাগে।
সঙ্গে আলুসেদ্ধ মাখা, ডালের বড়া কিংবা চিংড়ির বড়া হলে তো কথাই নেই। জল ঢালা ভাতে এসব খাবার খেতে বেশ লাগে। বলা ভাল স্বর্গ। এমন খাবারের কাছে বিরিয়ানিও ফেল।
তবে অনেকের ধারণা পান্তা খেলে ওজন বাড়ে। একথা কিন্তু ঠিক নয়। পান্তা ভাত শরীর ঠান্ডা রাখে। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। তবে তা পরিমাণে খেতে হবে। বেশি খেলেই বিপদ। খেয়াল রাখবেন ভাত যাতে বেশি ফার্মান্টেড হয়ে না যায়।