আপনি যতই স্কিন কেয়ার পণ্যের উপর বেশি জোর দিন না কেন, ত্বকের খেয়াল রাখতে গেলে ডায়েটের সঙ্গে সমঝোতা করলে চলবে না। ত্বকের জেল্লা তখনই বাড়বে যখন আপনি স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করবেন।
চিনিযুক্ত খাবার ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। ভাজাভুজি খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। এর বদলে ডায়েটে কী-কী ফল ও সবজি রাখবেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
ত্বকে টমেটো মাখলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আর যদি টমেটো খান, তাহলে সেই উপকারিতাই দ্বিগুণ হয়ে যায়। টমেটো ত্বককে ডি-ট্যান করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখে ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পাকা পেঁপে ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। পাকা পেঁপে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে এবং ক্ষত নিরাময় ও কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপের মধ্যে পাপাইন নামের এনজাইম রয়েছে যা ত্বক থেকে ডার্ক স্পট দূর করতে সাহায্য করে।
কমলালেবু ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ত্বককে মুক্ত র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা। কমলালেবু ত্বকের উপর এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।
আমলকি রক্তকে পরিশুদ্ধ করে এবং আপনার ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। আমলকির মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা সুস্থ ত্বক প্রদানে সাহায্য করে। শুকনো আমলকির গুঁড়ো আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী কুমড়ো। কুমড়োর মধ্যে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে যা ত্বকের উপর অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে।
রাঙা আলু ব্রণ, দাগছোপ ও বিবর্ণ ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ উপযোগী। রাঙা আলুর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষতর হাত থেকে রক্ষা করে। সান ট্যান তুলতে এই মিষ্টি আলু দারুণ কার্যকর।