Info Graphics: কোন ফ্যাক্টরে হবে বাজিমাত? কোন কোন ওয়ার্ড নির্ধারণ করবে ভবানীপুরের ভাগ্য? জেনে নিন

Bhawanipur By-Election: তৃণমূলের আরের শক্ত ঘাঁটি এই ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বাঙালি ভোটারদের হার ৭৭ শতাংশ। আবাঙালি ভোটারদের হার ২১ শতাংশ। কাজেই ২০১৪ সাল থেকে কোনও নির্বাচনেই এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি।

| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 6:20 PM
ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhawanipore By-Election)হল  বৃহস্পতিবার। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর ছিল রাজ্যবাসীর। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া মোটের উপর অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিজেপির (BJP) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আর বামেদের (CPIM) মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস। তিন প্রার্থীই ভোটের প্রচারে ঝড় তুলেছে। ৩ অক্টোবর এই উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ। কিন্তু ভোটের ফলে কোন কোন প্রভাব পড়তে পারে? ভোট কাটাকাটিতে কে বেশি লাভবান হতে পারেন? দেখে নেওয়া যাক তারই একটা তথ্য।    ৬৩, ৭৭, ৭৪, ৭১, ৭০, ৭২, ৭৩, ৮২। কলকাতা পুরসভার এই ৮ টি ওয়ার্ড নিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র। ভবানীপুরের ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বাঙালি হিন্দু, ২৪ শতাংশ মুসলিম এবং ৩৪ শতাংশ অবাঙালি হিন্দু। প্রতিটি ওয়ার্ডের জনবিন্যাস, মানুষের ভাষা ও ভোট দেওয়ার চরিত্রও ভিন্ন এখানে। তাই ধর্ম এবং ভাষা, এই দুইয়ের নিরিখে কোন ওয়ার্ডের কত শতাংশ মানুষ কোন দলে ভোট দিয়ে এসেছেন, সেই প্রবণতা হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমরা। (গ্রাফিক্স: অভিজিৎ দাস)

ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhawanipore By-Election)হল বৃহস্পতিবার। মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর ছিল রাজ্যবাসীর। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া মোটের উপর অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিজেপির (BJP) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আর বামেদের (CPIM) মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস। তিন প্রার্থীই ভোটের প্রচারে ঝড় তুলেছে। ৩ অক্টোবর এই উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ। কিন্তু ভোটের ফলে কোন কোন প্রভাব পড়তে পারে? ভোট কাটাকাটিতে কে বেশি লাভবান হতে পারেন? দেখে নেওয়া যাক তারই একটা তথ্য। ৬৩, ৭৭, ৭৪, ৭১, ৭০, ৭২, ৭৩, ৮২। কলকাতা পুরসভার এই ৮ টি ওয়ার্ড নিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র। ভবানীপুরের ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বাঙালি হিন্দু, ২৪ শতাংশ মুসলিম এবং ৩৪ শতাংশ অবাঙালি হিন্দু। প্রতিটি ওয়ার্ডের জনবিন্যাস, মানুষের ভাষা ও ভোট দেওয়ার চরিত্রও ভিন্ন এখানে। তাই ধর্ম এবং ভাষা, এই দুইয়ের নিরিখে কোন ওয়ার্ডের কত শতাংশ মানুষ কোন দলে ভোট দিয়ে এসেছেন, সেই প্রবণতা হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমরা। (গ্রাফিক্স: অভিজিৎ দাস)

1 / 6
ভবানীপুরের যে কটি ওয়ার্ডে অবাঙালি আধিপত্য বেশি, তার মধ্যে অন্যতম এই ওয়ার্ড। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংখ্যালঘুদের উপস্থিতিও এখানে যথেষ্ট। তুলনায় বাঙালি নিতান্তই কম। মোট ভোটারদের মধ্যে ৫০ শতাংশ এই ওয়ার্ডে অবাঙালি। মুসলিম ভোটারদের হার ৪১ শতাংশ। বাঙালি ভোটার মাত্র ৮ শতাংশ এই ওয়ার্ডে।  তাই খুব স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিতভাবে, লোকসভা ভোটে প্রতিবারই এই ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকে। কিন্তু বিধানসভায় এসে হিসেবটা উল্টে যায়। ২০১৪ এবং ২০১৯-এর ভোটে এই ওয়ার্ডে বিজেপি লিড নিলেও ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভায় এই ওয়ার্ডে জয়লাভ করে তৃণমূলই।  ভবানীপুরের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড এককথায় পুরোপুরি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানকার ৮৪ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু। বাঙালি ৯ এবং অবাঙালি ৭ শতাংশ। ফলে লোকসভা হোক বা বিধানসভা, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের একক আধিপত্য বিরাজমান।   ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেশ মজবুত। কারণ এখানে অবাঙালি ভোটারদের হার ৪৯ শতাংশ। বাঙালি ভোটার এখানে ৩৬ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের হার ১৬ শতাংশ। লোকসভা হোক বা বিধানসভা, এখানকার ভোটারদের পাল্লা সর্বদাই বিজেপির দিকে ঝুঁকে। ২০১৪ সাল থেকে দুই লোকসভা ও দুই বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে মাত্র একবার, অর্থাৎ ২০১৬ সালে লিড নিতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল। বাকি তিনবারই বিজেপি এগিয়ে থেকেছে।

ভবানীপুরের যে কটি ওয়ার্ডে অবাঙালি আধিপত্য বেশি, তার মধ্যে অন্যতম এই ওয়ার্ড। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংখ্যালঘুদের উপস্থিতিও এখানে যথেষ্ট। তুলনায় বাঙালি নিতান্তই কম। মোট ভোটারদের মধ্যে ৫০ শতাংশ এই ওয়ার্ডে অবাঙালি। মুসলিম ভোটারদের হার ৪১ শতাংশ। বাঙালি ভোটার মাত্র ৮ শতাংশ এই ওয়ার্ডে। তাই খুব স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিতভাবে, লোকসভা ভোটে প্রতিবারই এই ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকে। কিন্তু বিধানসভায় এসে হিসেবটা উল্টে যায়। ২০১৪ এবং ২০১৯-এর ভোটে এই ওয়ার্ডে বিজেপি লিড নিলেও ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভায় এই ওয়ার্ডে জয়লাভ করে তৃণমূলই। ভবানীপুরের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড এককথায় পুরোপুরি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানকার ৮৪ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু। বাঙালি ৯ এবং অবাঙালি ৭ শতাংশ। ফলে লোকসভা হোক বা বিধানসভা, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের একক আধিপত্য বিরাজমান। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেশ মজবুত। কারণ এখানে অবাঙালি ভোটারদের হার ৪৯ শতাংশ। বাঙালি ভোটার এখানে ৩৬ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের হার ১৬ শতাংশ। লোকসভা হোক বা বিধানসভা, এখানকার ভোটারদের পাল্লা সর্বদাই বিজেপির দিকে ঝুঁকে। ২০১৪ সাল থেকে দুই লোকসভা ও দুই বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে মাত্র একবার, অর্থাৎ ২০১৬ সালে লিড নিতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল। বাকি তিনবারই বিজেপি এগিয়ে থেকেছে।

2 / 6
ওয়ার্ড

ওয়ার্ড

3 / 6
৭০ নম্বর ওয়ার্ড প্রকৃতপক্ষে অবাঙালি অধ্যুষিত, এবং বিজেপির শক্ত ঘাঁটি এই ৭০ নম্বর ওয়ার্ড। অবাঙালি ভোটারদের হার এখানে ৬১ শতাংশ হওয়ায় যে কোনও নির্বাচনেই হেসেখেলে বিজেপিই এখানে এগিয়ে থাকে। সেটা লোকসভা হোক বা বিধানসভা। এই ওয়ার্ডে বাঙালি ভোটার ৩৫ শতাংশ, সংখ্যালঘু ভোট এখানে মাত্র ৩ শতাংশ।  কখনও এদিক, কখনও ওদিক। ভবানীপুরের সবচেয়ে দোদুল্যমান ওয়ার্ড যদি কোনওটা হয়ে থাকে। তবে তা অবশ্যই ৭২ নম্বর। তবে একটা সুস্থির ট্রেন্ড অনুসরণ করে এই ওয়ার্ড। লোকসভা ভোট এলেই এই ওয়ার্ড থেকে লিড নেয় বিজেপি। আবার বিধানসভা ভোটে এখানে এগিয়ে যায় তৃণমূল।  কিন্তু কেন? এ ক্ষেত্রেও এই ওয়ার্ডের জনবিন্যাসেই উত্তর লুকিয়ে। এখানে বাঙালি ৫৬ শতাংশ, অবাঙালি ৪১ শতাংশ, এবং মুসলিম ৩ শতাংশ। তাই ভোট অনুযায়ী এখানকার মানুষের মতও ঘোরে। এ বারের উপনির্বাচনেও এই ওয়ার্ডের ভোট কোনদিকে যায় তা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

৭০ নম্বর ওয়ার্ড প্রকৃতপক্ষে অবাঙালি অধ্যুষিত, এবং বিজেপির শক্ত ঘাঁটি এই ৭০ নম্বর ওয়ার্ড। অবাঙালি ভোটারদের হার এখানে ৬১ শতাংশ হওয়ায় যে কোনও নির্বাচনেই হেসেখেলে বিজেপিই এখানে এগিয়ে থাকে। সেটা লোকসভা হোক বা বিধানসভা। এই ওয়ার্ডে বাঙালি ভোটার ৩৫ শতাংশ, সংখ্যালঘু ভোট এখানে মাত্র ৩ শতাংশ। কখনও এদিক, কখনও ওদিক। ভবানীপুরের সবচেয়ে দোদুল্যমান ওয়ার্ড যদি কোনওটা হয়ে থাকে। তবে তা অবশ্যই ৭২ নম্বর। তবে একটা সুস্থির ট্রেন্ড অনুসরণ করে এই ওয়ার্ড। লোকসভা ভোট এলেই এই ওয়ার্ড থেকে লিড নেয় বিজেপি। আবার বিধানসভা ভোটে এখানে এগিয়ে যায় তৃণমূল। কিন্তু কেন? এ ক্ষেত্রেও এই ওয়ার্ডের জনবিন্যাসেই উত্তর লুকিয়ে। এখানে বাঙালি ৫৬ শতাংশ, অবাঙালি ৪১ শতাংশ, এবং মুসলিম ৩ শতাংশ। তাই ভোট অনুযায়ী এখানকার মানুষের মতও ঘোরে। এ বারের উপনির্বাচনেও এই ওয়ার্ডের ভোট কোনদিকে যায় তা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

4 / 6
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে শুধুমাত্র ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন বাদে এই ওয়ার্ডে কখনই লিড নিতে পারেনি বিজেপি। এখানকার ভোটারদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাঙালি। অবাঙালি ৩৩ শতাংশ। তাই বাকি দুই বিধানসভা এবং ২০১৪-র লোকসভায় তৃণমূলই এগিয়ে ছিল এই ওয়ার্ডে। সংখ্যালঘু ভোটারদের হার এখানে ২ শতাংশ।

৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে শুধুমাত্র ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন বাদে এই ওয়ার্ডে কখনই লিড নিতে পারেনি বিজেপি। এখানকার ভোটারদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাঙালি। অবাঙালি ৩৩ শতাংশ। তাই বাকি দুই বিধানসভা এবং ২০১৪-র লোকসভায় তৃণমূলই এগিয়ে ছিল এই ওয়ার্ডে। সংখ্যালঘু ভোটারদের হার এখানে ২ শতাংশ।

5 / 6
শেষ এবং তৃণমূলের আরের শক্ত ঘাঁটি এই ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বাঙালি ভোটারদের হার ৭৭ শতাংশ। আবাঙালি ভোটারদের হার ২১ শতাংশ। কাজেই ২০১৪ সাল থেকে কোনও নির্বাচনেই এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। ফলে এ বারও গেরুয়া শিবির খুব একটা সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

শেষ এবং তৃণমূলের আরের শক্ত ঘাঁটি এই ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বাঙালি ভোটারদের হার ৭৭ শতাংশ। আবাঙালি ভোটারদের হার ২১ শতাংশ। কাজেই ২০১৪ সাল থেকে কোনও নির্বাচনেই এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। ফলে এ বারও গেরুয়া শিবির খুব একটা সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

6 / 6
Follow Us: