গত দু’দিনে নিম্নচাপের বৃষ্টির জের। ভেসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জেলা। এখনও জল নামেনি একাধিক জায়গার। সমস্যায় রয়েছেন প্রচুর মানুষ। এরই মধ্যে ফের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল মুকুটমণিপুর কংসাবতী সেচ দফতর।
জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধার থেকে। এখন বর্ধমানে জলস্তর রয়েছে ৪৩৪.২ ফুট। এই অবস্থায় যদি জল ছাড়া হয় ক্ষতির মুখে পড়বে ঘাটাল-পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকা।
শেষ পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে বিকেল ৫টা নাগাদ মুকুটমনিপুর কংসাবতী জলাধার থেকে আবার পাঁচ হাজার কিউসেক জল বাড়ানো হলো। মোট জল ছাড়ার পরিমাণ তিরিশ হাজার করা হলো।
গতকালের একটানা অবিরাম বৃষ্টির ফলে এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কংসাবতীর বিভিন্ন এলাকা ও বেশিরভাগ ব্রিজ চলে গিয়েছে জলের তলায়।
এছাড়াও, বাঁকুড়ায় ২২ ব্লকে জলমগ্ন হয়েছে। বাঁকুড়া বাইপাস,শ্রোতিঘাট, জুনবেদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিষ্ণুপুরের পৌর এলাকাতেও জল ঢুকেছে।
জানা গিয়েছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। বর্তমানে ১.৮৬ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে দুর্গাপুর। এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে আশঙ্কা যে পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তাতে বানভাসি হবে হাওড়ার আমতা, উদনারায়ণপুর ও দামোদরের নিম্ন তিরবর্তী এলাকা।