প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন ভারতীয় থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। যখন থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে বেশি বা কম পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন নির্গত হয়, তখন সেটি থাইরয়েডের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে এটি আপনার মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে। হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে রোগীর ওজন বেড়ে যায়। আবার হাইপারথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে রোগীর ওজন কমে যায়। তাই থাইরয়েডের ক্ষেত্রেও আপনাকে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে।
বাদাম ও সিড খান। ড্রাই ফ্রুইটের মিশ্রণে বেশ ভাল পরিমাণে সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। ব্রাজিল নাট সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ যা থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকারী। অন্যদিকে, চিয়া সিড ও কুমড়োর দানা জিঙ্ক সমৃদ্ধ। ওজন কমানোর জন্যও আপনি এটা খেতে পারেন।
রোজের খাদ্যতালিকায় এক বাটি করে ডাল রাখুন। মুসুর, মুগ, কড়াই, রাজমা ইত্যাদি প্রোটিনের ভাল উৎস। এই ধরনের খাবার আপনার মেটাবলিজমকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া ডাল খেলে ওজনও বাড়বে না।
ডিমের কুসুমের মধ্যে সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক পাওয়া যায়। আর ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন রয়েছে। সুতরাং, এই দুই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে থাইরয়েডের রোগীরা রোজ একটা করে ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন।
টমেটো, ক্যাপসিকামের মতো সবজি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়। রোজের ডায়েটে শাকসবজি রাখুন। শাকসবজির মধ্যে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এগুলো থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখবে।
ওজন কমানোর প্রথম ধাপ হল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এটা থাইরয়েড রোগীদের মেনে চলতেই হবে। এতে আপনার হজম স্বাস্থ্যও উন্নত হবে।