‘বিজেপির উত্থানকে খাটো করে দেখছে সিপিএম’
এমন কিছু আসনে সিপিআইএমল প্রার্থী দেবে যেখানে ২০১৬ সালে জয়ী হয়েছে বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা।
কলকাতা: রাজনৈতিক মত পার্থক্যের ফারাক! সিপিআইএমএল (CPIML) মনে করে ‘বাংলায় বিজেপিকে হারানোই এখন একমাত্র কাজ’। অন্যদিকে, সিপিআইএম (CPIM) মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, ‘বিজেপি এবং তৃণমূল আসলে একই মুদ্রার দুই পিঠ’। দুই ‘শত্রু’-কেই পরাস্ত করতে হবে। এই ‘সূক্ষ্ম দ্বন্দ্ব’-ই বন্ধু হয়েও হাতেহাত মেলাত দিল না সিপিআইএম এবং সিপিআইএমএলকে। যার ফলস্বরূপ, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হলেও এবারও হচ্ছে না বৃহত্তর বাম জোট। ১২টি আসনে স্বাধীনভাবে লড়বে সিপিআইএমএল।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের (Dipankar Bhattacharya) সাফ কথা, “পশ্চিমবাংলায় বিজেপির ক্রমবর্ধমান উত্থানকে খাটো করে দেখা, এটাই হল সব থেকে বড় প্রশ্ন। কে কটা আসনে লড়ল, কংগ্রেস থাকল কি থাকল না, এটা মূল প্রশ্নই নয়। আর রাজনৈতিক মত পার্থক্য নিয়ে কোনও নির্বাচনী জোট হতে পারে না।”
যদিও দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের দল বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাছাই করা আসনে ‘বন্ধু’ সিপিআইএমকে সমর্থন দেবে। তবে সেই সমর্থন সার্বিক নয়। উল্টে এমন কিছু আসনে সিপিআইএমল প্রার্থী দেবে যেখানে ২০১৬ সালে জয়ী হয়েছে বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব স্পেশাল’ বিমানে চড়ে দিল্লি, একযোগে বিজেপিতে যোগ বৈশালী-প্রবীর-রথীনের
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “রাজনৈতিক মত পার্থক্যের জন্যই একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই নির্বাচনে আমরা বাছাই করা কিছু আসনেই লড়ব এবং সিপিএম সহ বাম দলগুলোকে ক্ষেত্রবিশেষে সমর্থন দেব। এর বাইরে গোটা পশ্চিমবাংলায় বিজেপিকে হারাতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেব। এতে বামপন্থায় কোনও ফাটল তৈরি হবে না, বরং আগামী দিনে বামেদের শক্তিবৃদ্ধি ও দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি পর্ব এটা।”
আরও পড়ুন: দিব্যেন্দু অধিকারীর একাধিক পদে কোপ, অপসারিত ৩ কলেজের পরিচালন কমিটি থেকে
যদিও সুজন চক্রবর্তীরা (Sujan Chakraborty) তা মনে করেন না। বরং, তাঁর মত, “কেউ যদি মনে করেন গণতন্ত্র বাঁচাতে ভিন্ন পথে হাঁটতে হবে, আমরা তা মনে করছি না।” নিজের মত প্রতিষ্ঠায় সিপিআইএম নেতা বলেন, “পশ্চিমবাংলায় বিজেপি সুযোগ পাচ্ছে, মানুষের তৃণমূলের ওপর রাগের কারণে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যে মনোভাব তৈরি হয়েছে, সেটার সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল সম্পর্কে আমরা চুপটি করে রয়েছি, তাহলে মানুষ বুঝবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা কেউ নই, বিজেপিই সব। এটা বিজেপির-ই শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।”