Janmasthami 2023: শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ কৃপা পেতে এই জন্মাষ্টমীতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়ম
Krishna Puja Rules: বাড়িতে বহুজন শিশুর মতো করে গোপালঠাকুরকে সেবা করে থাকেন। প্রতিদিনের পুজো, স্নান, ভোগেরও রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। পরিবারের অন্য়তম সদস্য রূপেই ছোট্ট গোপালকে পুজো করা হয়ে থাকে।
হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডার মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে প্রতি বছর জন্মাষ্টমী পালন করা হয়ে থাকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, অগস্ট-সেপ্টেম্বরেই এই জনপ্রিয় উত্সব পালন করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে মথুরা, বৃন্দাবন, দ্বারকা ও মুম্বই শহরে এই উত্সব ধুমধাম করে পালন করা হয়ে থাকে। করুণা ও ভালোবাসার পরম ঈশ্বর রূপে শ্রীকৃষ্ণকে শিশু রূপে পুজো করে থাকেন বহু ভক্ত। শৈশব থেকেই শ্রীকৃষ্ণের শক্তি ও মাহাত্ম্যের কথা শুনে শুনে মানুষের মধ্য়ে প্রেম ও ভক্তি জাগ্রত হে উঠেছে। সেই থেকেই আজও চলছে জন্মাষ্টমীর পুজো. তবে ছোট্ট গোপালের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। বাড়িতে বহুজন শিশুর মতো করে গোপালঠাকুরকে সেবা করে থাকেন। প্রতিদিনের পুজো, স্নান, ভোগেরও রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। পরিবারের অন্য়তম সদস্য রূপেই ছোট্ট গোপালকে পুজো করা হয়ে থাকে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঘরে ঘরে লাড্ডু গোপালের প্রতিপত্তি রয়েছে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য। এ বছর ৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জন্মাষ্টমী। এ দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপকে স্নেহ, ভালোবাসা, প্রেম ও ভক্তির প্রতীক হিসেবে আরাধনা করা হয়ে থাকে। এছাড়া শাস্ত্রমতে, কৃষ্ণকথা ও সেবা পরম ধর্ম। তাই গোপাল ঠাকুরের পুজোর যে যে বিশেষ নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চললে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া সম্ভব।
ঘরে গোপাল ঠাকুর থাকলে প্রতিদিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন ভক্তরা। বিশ্বাস করেন, ছোট্ট গোপাল যেন পরিবারেরই একজন সদস্য। তাই বাড়িতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই পরিবারের সবচেয়ে আদরের একজন হয়ে ওঠে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে স্নান করানো, শঙ্খের জল দিয়ে অভিষেক করানো, গা মুছিয়ে পরিস্কার ও সুন্দর পোশাক পরানো এই কাজগুলি করা উচিত। চন্দনের ফোঁটা দিতে পারেন। আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরানো উচিত কৃষ্ণ গোপালকে।
দিনে দুবার, সকাল ও সন্ধ্যের সময় গোপালের পূজা করা উচিত। আরতির পাশাপাশি, ভোগ হিসেবে মাখন, চিনি ও অন্যান্য মিষ্টি দেওয়া উচিত। যখনই বাড়িতে কোনও খাবার তৈরি করা হবে, প্রথমে তা লাড্ডু গোপালকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা উচিত।
ঘরে নতুন যে জিনিসই আসুক না কেন, তা প্রথমে লাড্ডু গোপালকে নিবেদন করতে হবে। পরিবারের একজন মনে করায় কখনও কখনও খেলনাও কিনে দিতে পারেন। রাতের সময়, শিশুর মতো ঘুমাতে দেওয়া উচিত। গানও গাইতে পারেন। আবার সকালে স্নেহের সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে সকালের খাবার নিবেদন করা দরকার।