Pradosh Vrat 2022: সামনেই প্রদোষ ব্রত! এবারের পুজো কেন স্পেশাল, তা জানুন

Significance of Pradosh Vrat: প্রদোষ ব্রতে সারা দিন উপবাস করে ওই বিশেষ সময়ে শিবের পূজা করা হয়। পূজক রুদ্রাক্ষ ও বিভূতি ধারণ করে অভিষেক, চন্দন, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য দিয়ে শিবের পূজা করা হয়।

Pradosh Vrat 2022: সামনেই প্রদোষ ব্রত! এবারের পুজো কেন স্পেশাল, তা জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 6:20 AM

হিন্দু ক্যালেন্ডার ( Hindu calendar) চাঁদের উপর ভিত্তি করে একটি মাসে দুটি চন্দ্র পাক্ষিক রয়েছে। এই পর্যায়গুলিতে, চতুর্থী তিথি (চতুর্থ দিন), ষষ্ঠী তিথি (ষষ্ঠ দিন), অষ্টমী তিথি (অষ্টম দিন), একাদশী (এগারো দিন) এবং ত্রয়োদশী তিথি (ত্রয়োদশী) ভগবান গণেশ, ভগবান কার্তিককে উত্সর্গ করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতিমাসের কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীর দিনে প্রদোষ ব্রত (Pradosh Vrat )পালিত হয়। হিন্দুরা সূর্যাস্তের আগের ও পরের দেড় ঘণ্টা সময়কে বিশেষ পবিত্র মনে করেন। প্রদোষ ব্রতে সারা দিন উপবাস করে ওই বিশেষ সময়ে শিবের পূজা করা হয়। এদিন আসলে ভগবান শিব ও পার্বতীকে একসঙ্গে পুজো করা হয়।

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, চান্দ্র পাক্ষিক শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষে উপবাস রাখা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই ব্রতের উপবাস মাসে দুবার আসে। পঞ্জিকায় “প্রদোষ” কথাটি একটি বিশেষ তিথির নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রদোষ কল্প ও দোশার পুত্র। তার নীশিত ও ব্যুষ্ঠ নামে দুই ভাই ছিল। এই তিনটি নামের অর্থ যথাক্রমে রাত্রির সূচনা, মধ্যভাগ ও অন্ত। প্রত্যেক পক্ষের দ্বাদশীর শেষ ও ত্রয়োদশীর সূচনার অংশটিকে “প্রদোষ” বলা হয়। এই পাক্ষিকের সময় আগামী শুক্রবার পড়েছে। তাই একে শুক্র প্রদোষ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ত্রয়োদশী তিথির সময়

ত্রয়োদশী তিথি ১৩ মে, বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৪ মে বিকাল ৩টে ২২ মিনিটে সমাপ্তি।

শিব পূজা শুভর মুহুর্তের পূজা বিকেল ৭টা ৪ মিনিট থেকে ৯টা ৯মিনিট।

তাৎপর্য

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতারা অসুরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রদোষকালে শিবের কাছে গিয়েছিলেন। এক ত্রয়োদশী তিথিতে তারা কৈলাশ পর্বতে যান। শিবের বাহন নন্দী তাদের সহায়তা করেন। শিব অসুর বধ করে দেবতাদের সাহায্য করেন। সেই থেকে মন্দিরে ত্রয়োদশীতে নন্দী-সহ শিবের পূজার রীতি চালু হয়। প্রত্যেক পক্ষের দ্বাদশীর শেষ ও ত্রয়োদশীর সূচনার অংশটিকে “প্রদোষ” বলা হয়। প্রদোষ ব্রতে সারা দিন উপবাস করে ওই বিশেষ সময়ে শিবের পূজা করা হয়। পূজক রুদ্রাক্ষ ও বিভূতি ধারণ করে অভিষেক, চন্দন, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য দিয়ে শিবের পূজা করা হয়। এই ব্রতর প্রভাবে সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করা যায় এবং মনোস্কামনা পূরণ হয়। সন্ধ্যের সময় কীভাবে বাড়িতে শিবের আরাধনা করবেন, তা জানুন…

– ব্রাহ্ম সময় মেনে খুব ভোরে উঠে স্নান সেরে পরিস্কার ও নতুন পোশাক পরতে হবে।

– ভগবান সুরতার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করুন এবং জল নিবেদন করুন। মন্ত্র উচ্চারণ করে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীকে ফুল, ফল, দাতুরা, দুধ এবং দই নিবেদন করুন। প্রদোষ ব্রতের আসল সময় হল সূর্যাস্তের সময়। এরপর শিবলিঙ্গকে প্রদীপ দেখিয়ে আরতি করুন ।

– যাঁরা এই ব্রতের জন্য উপবাস করে থাকেন তাঁরা সাধারণত মন্দিরে গিয়ে শিব পুজো করে থাকেনষ সেখানে পঞ্চামৃত প্রদান করেন ও শিবলিঙ্গে বিল্বপত্র অর্পণ করেন। শিব ঠাকুরের প্রিয় ধুত্রো ফুল এবং বেল পাতা নিবেদন করুন।

-তারপরে, সন্ধ্যায় তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং প্রদোষ ব্রতকথা শোনেন। মহাদেবের ছবির সামনে ধ্যানে বসে মনপ্রাণ দিয়ে এক ভাবে ওম নমঃ শিবায়ে জপ করে শিবের আরাধনা করুন।

– স্কন্দপুরাণ অনুসারে, যারা ভক্তি সহকারে প্রদোষ উপবাস করেন তারা সুস্বাস্থ্য ও ধনলাভ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে আপনি যদি ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করেন তাহলে তিনি আপনার সমস্ত পাপ দূর করে আশীর্বাদ এবং সৌভাগ্য দান করেন।