Ram Lalla Upay: ২২ জানুয়ারিতেই কেন রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা? রামের আশীর্বাদ পেতে বাড়িতেই করুন এই ছোট্ট কাজ

Ram Mandir in Ayodhya: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সকাল ৭টা ১৪ মিনিট থেকে সারা রাত পর্যন্ত সর্বার্থ সিদ্ধি ও অমৃত সিদ্ধি যোগ গঠিত হবে। আর সেদিন আপনি ঘরে বসেও রামলালার পুজো করলে বা রামচন্দ্রের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য শুধু একটিমাত্র কাজ করলেই হবে। আর ভিড় ঢেলে যেতে হবে না অযোধ্যায়। 

Ram Lalla Upay: ২২ জানুয়ারিতেই কেন রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা? রামের আশীর্বাদ পেতে বাড়িতেই করুন এই ছোট্ট কাজ
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Jan 20, 2024 | 4:04 PM

রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনি শুনে শুনে ছোট থেকে বড় হয়েছি আমরা। রামায়ণের সপ্তকাণ্ডের ছত্রে ছত্রে রামচন্দ্রের নানা কীর্তি ও গুণগান বর্ণিত রয়েছে। ১৪ বছরের বনবাস ও সেই সঙ্গে রাম-সীতা-লক্ষ্মণের জীবন কেমন ঘটনা ঘটেছিল, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ, তারপর অযোধ্যায় ফিরে আসায় অকাল দিওয়ালি পালন করা, সবকিছুই বর্ণিত করা হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি, অযোধ্য়ার নবনির্মিত রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তি স্থাপন করে প্রাণ-প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান পালন করা হবে। বহু বছরের পর সেই শুভ মুহূর্ত আসতে চলেছে। শ্রীরামচন্দ্রের রামলালার জীবন পবিত্র করে তোলে হবে এদিন। ইতোমধ্যে রামলালা অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে উপবিষ্ট। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আগামী সোমবার, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, অমৃত যোগ সিদ্ধি যোগ, মৃগাশিরা নক্ষত্রেের মাধ্যমেও পবিত্র হতে চলেছে।

পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সকাল ৭টা ১৪ মিনিট থেকে সারা রাত পর্যন্ত সর্বার্থ সিদ্ধি ও অমৃত সিদ্ধি যোগ গঠিত হবে। আর সেদিন আপনি ঘরে বসেও রামলালার পুজো করলে বা রামচন্দ্রের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য শুধু একটিমাত্র কাজ করলেই হবে। আর ভিড় ঢেলে যেতে হবে না অযোধ্যায়।

অনেকেই মনে করতে পারেন, এত দিন থাকতে কেন ২২ জানুয়ারিতেই রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। জ্যোতিষী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, যেদিনটিতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও শুদ্ধ করা হচ্ছে, সেইদিনটি অত্যন্ত শুভ। সেদিন আবার পালিত হবে পৌষ পুত্রদা একাদশীও। তাই এদিন রামচন্দ্রের আশীর্বাদ পেতে বাড়িতেই পণ্ডিত ডেকে বা নিজেই শ্রীসুক্ত, পুরুষ সুক্ত ও কনকধারা স্তোত্র পাঠ করতে পারেন।

এ পাঠ কমপক্ষে  ১০৮ বার পুনরাবৃত্তি করা উচিত। এই পাঠটি সকাল ৬ টা ২২ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৫টা ১৭ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করুন৷ শুক্ল যজুর্বেদে বলা হয়েছে যে এটি পাঠ করলে সুখ-সম্পদ বৃদ্ধি পেতে পারে।

শ্রীসূক্ত স্তোত্র

ওম হিরণ্যবর্ণাং হরিণীং, সুবর্ণরজতস্ত্রজাম্।

চন্দ্রাং হিরণ্ময়ীং লক্ষ্মী, জাতবেদো ম আ বহ।।

তাং ম আ বহ জাতবেদো, লক্ষ্মীমনপগামিনীম্।

যস্যাং হিরণ্যং বিন্দেয়ং, গামশ্বং পুরুষানম্।

অশ্বপূর্বা রথমধ্যাং, হস্তিনাদপ্রমোদিনীম্।

শ্রিয়ং দেবীমুপ হ্বয়ে, শ্রীর্মা দেবী জুষতাম্।।

কাং সোস্মিতাং হিরণ্যপ্রাকারামার্দ্রাং জ্বলন্তীং তৃপ্তাং তর্পয়ন্তীম্।

পদ্মেস্থিতাং পদ্মবর্ণাং তামিহোপ হ্বয়ে শ্রিয়ম্।।

চন্দ্রাং প্রভাসাং যশসা জ্বলন্তীং শ্রিয়ং লোকে দেবজুষ্টামুদারাম্।

তাং পদ্মিনীমীং শরণং প্র পদ্যে অলক্ষ্মীর্মে নশ্যতাং ত্বাং বৃণে।।

আদিত্যবর্ণে তপসোধি জাতো বনস্পতিস্তব বৃক্ষোক্ষ বিল্বঃ।

তস্য ফলানি তপসা নুদন্তু যা অন্তরা যাশ্চ বাহ্যা অলক্ষ্মীঃ।।

উপৈতু মাং দৈবসখঃ, কীর্তিশ্চ মণিনা সহ।

প্রাদুর্ভূতোস্মি রাষ্ট্রেস্মিন্, কীর্তিমৃদ্ধিং দদাতু মে।।

ক্ষুত্পিপাসামলাং জ্যেষ্ঠামলক্ষ্মীং নাশয়াম্যহম্।

অভূতিমসমৃদ্ধিং চ, সর্বাং নির্পুদ মে গৃহাৎ।।

গন্ধদ্বারাং দুরাধর্ষা, নিত্যপুষ্টাং করীষিণীম্।

ঈশ্বরীং সর্বভূতানাং, তামিহোপ হ্বয়ে শ্রিয়ম্।।

মনসঃ কামমাকূতিং, বাচঃ সত্যমশীমহি।

পশূনাং রূপমন্নস্য, ময়ি শ্রীঃ শ্রয়তাং যশঃ।।

কর্দমনে প্রজা ভূতা ময়ি সম্ভব কর্দম।

শ্রিয়ং বাসয় মে কুলে মাতরং পদ্মমালিনীম্।।

আপঃ সৃজন্তু স্নিগ্ধানি চিক্লীৎ বস মে গৃহে।

নি চ দেবীং মাতরং শ্রিয়ং বাসয় মে কুলে।।

আর্দ্রাং পুষ্করিণীং পুষ্টিং পিঙ্গলাং পদ্মমালিনীম্।

চন্দ্রাং হিরণ্যয়ীং লক্ষ্মী, জাতবেদো ম আ বহ।।

আর্দ্রাং য করিণীং যষ্টিং সুবর্ণাং হেমমালিনীম্।

সূর্যাং হিরণ্যময়ীং লক্ষ্মী জাতবেদো ম আ বহ।।

তাং মা আ বহ জাতবেদো লক্ষ্মীমনপগামিনীম্।

যস্যা হিরণ্যং প্রভূতং গাবো, দাস্যোশ্বান্ বিন্দয়ং পুরুষানহম্।।

যঃ শূচিঃ প্রয়তো ভূত্বা জুহুযাদাজ্যমন্বহম্।

সূক্তং পঞ্চদশর্চং চ শ্রীকামঃ সততং জপেৎ।।