Sheetala Ashtami 2024: কবে পালিত হবে শীতলা অষ্টমী? বাসি খাবার কেন ভোগ দেওয়া হয়, জানেন না অনেকেই

Puja Date and Times: হোলির পর থেকেই গরমে তীব্রতা বাড়ে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শীতলা দেবী হলেন শীতল প্রদানকারী দেবী। তিনি গুটিবসন্ত ও চর্মরোগ থেকে মুক্তি দেন বলেও বিশ্বাস করেন বাংলার মানুষরা। তাই সঠিকভাবে শীতলা দেবী আরাধনা করে উপবাস করলে সুস্বাস্থ্যের বর পাওয়া যায়। এ দিনে শীতলাদেবীকে বাসি ও ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়, প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এ দিনে ঘরে উনুন বা গ্যাস না জ্বালানোরও প্রথা রয়েছে।

Sheetala Ashtami 2024: কবে পালিত হবে শীতলা অষ্টমী? বাসি খাবার কেন ভোগ দেওয়া হয়, জানেন না অনেকেই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2024 | 11:53 AM

হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, হোলির সাতদিন পরই শীতলা অষ্টমী পালিত হয়। সাধারণত সপ্তমী ও অষ্টমীতে দেবী শীতলার পুজো করা হয়। হিন্দু ধর্মে সব উত্‍সবেরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় শীতলা অষ্টমী। রীতি অনুযায়ী, এদিন দেবীকে বাসি খাবার ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। বাড়িতে এদিন গ্যাস বা উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। ক্যালেন্ডার মতে, এদিন পয়লা এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শীতলাদেবীর বার্ষিক পুজো। অন্যদিকে ২ এপ্রিল পালিত হবে শীতলা অষ্টমী বসোদা উত্‍সব। বাংলা শীতলাদেবীর পুজো হলেও রাসস্থানে বাসদো উত্‍সব অত্যন্ত বিখ্যাত।

কথিত আছে, এদিন শীতলা পুজোর ব্রত ও উপবাস পালন করলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে, এছাড়া রোগভোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

শুভ মুহূর্ত

চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথি ২৫ মার্চ শুক্রবার ভোররাত ২:৩৯ মিনিটে শুরু হবে এবং ২৬ মার্চ শনিবার বেলা ১২.৩৪ মিনিটে শেষ হবে।

শীতলা পুজো উৎসবের গুরুত্ব

হোলির পর থেকেই গরমে তীব্রতা বাড়ে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শীতলা দেবী হলেন শীতল প্রদানকারী দেবী। তিনি গুটিবসন্ত ও চর্মরোগ থেকে মুক্তি দেন বলেও বিশ্বাস করেন বাংলার মানুষরা। তাই সঠিকভাবে শীতলা দেবী আরাধনা করে উপবাস করলে সুস্বাস্থ্যের বর পাওয়া যায়। এ দিনে শীতলাদেবীকে বাসি ও ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়, প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এ দিনে ঘরে উনুন বা গ্যাস না জ্বালানোরও প্রথা রয়েছে। এছাড়াও শীতলা অষ্টমীর দিন বাসি খাবার খাওয়ার শেষ দিন। তীব্র গরমে বাসি খাবার খাওয়া উচিত নয়। গরমে শুধুমাত্র তাজাও সহজে হজমযোগ্য সুষম খাবার খাওয়া উচিত।

পুজো পদ্ধতি

শীতলা সপ্তমীতে সকালে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। তারপর শীতলাদেবীর ভোগের জন্য খাবার তৈরি করুন। এতে ক্ষীর, লুচি, ঘি দিয়ে আলুভাজা, মিষ্টির মতো খাবার তৈরি করা হয়। বাঙালির ঘরে এদিন অরন্ধনের মতো রান্না করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ শীতলা অষ্টমীতে সূর্যোদয়ের আগে বসোদা পুজো করলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

এই দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন। এর পরে, দেবী শীতলার মন্দিরে গিয়ে আচারের সঙ্গে পুজো করা উচিত। দেবী শীতলাকে জল নিবেদন করুন। মনে রাখবেন শীতলা পুজো সময় প্রদীপ বা ধুনো বা ধূপকাঠি জ্বালানো উচিত নয়। এমনকি পুজোর সময় আগুন ব্যবহার করাও উচিত নয়।

ঠাণ্ডা খাবার নিবেদন করার কারণ শীতলা মায়ের নামের উপনীত। তাই এই দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিনে উপবাস ও উপাসনা করলে গুটি বসন্ত, হাম ও চর্মরোগের মতো ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীতলা দেবী ঠাণ্ডা জিনিস পছন্দ করেন বলেই শীতলা পুজোর দুদিন অর্থাৎ সপ্তমী ও অষ্টমীতে ঠাকুরের কাছে ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়। দেবী শীতলা ঠাণ্ডা খাবার পছন্দ করেন সেই জন্য পুজোর দিন ঠাকুরের কাছে ডাব, দইয়ের মত ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়।